হাই কোর্ট ২০২২ সালে ফুটপাত বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেয়; কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই, বললেন আইনজীবী।
Published : 22 Apr 2024, 09:45 PM
ঢাকার ফুটপাত বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা দাখিলে দেওয়া নির্দেশনার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিটে দেওয়া নির্দেশনা পালন না করার বিষয় আদালতের নজরে আনলে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকার ফুটপাত বিক্রি করে জনগণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।
“শুনানি শেষে হাই কোর্ট ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করেন। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, সিআইডি ও রাজউককে ফুটপাত বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেন।”
এ ছাড়া যাতে আর কেউ ফুটপাত দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে মনিটরিং টিম গঠন করারও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মনজিল মোরসেদ বলেন, “আদালতের নির্দেশনা মতো কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় এ বিষয়ে এইচআরপিবি আদালতের আদেশের প্রার্থনা জানায়। শুনানি শেষে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ সরকারকে নির্দেশনা অনুসারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা আগামী সোমবারের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।“
এই আইনজীবী আরও বলেন, ফুটপাত হলো জনগণের চলাচলের রাস্তা; তা দখল ও বিক্রি করে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা অর্থ উপার্জন করছে। এটি বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এর আগে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হাই কোর্টের দেওয়া একটি আদেশ এক যুগেও প্রতিপালিত হয়নি।
ওই বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধানের বিধানে আদালতের আদেশ কার্যকর করার কথা বলা আছে। কেউ যদি সেই নির্দেশনা কার্যকর না করে, তাহলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। সংশ্লিষ্ট অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
আদালতের আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে অবমাননার আবেদন করবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগে কয়েকবার অভিযোগ করেছিলেন; কিন্তু কিছুদিন তৎপরতা চলে, আবার বন্ধ হয়ে যায়। আবার আবেদন করবেন।
এ বিষয়ে প্রতি মাসে ট্রাফিক পুলিশের একটি দলকে ওই রায় বাস্তবায়ন বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয় দাবি করা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন।
ট্রফিক পুলিশকে দেওয়া আদেশের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় লিগ্যাল সেকশন আছে, তারা নিয়মিত প্রতিবেদন দেয়।”
প্রতিবেদন প্রতি মাসে দেয় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের জানা মতে নিয়মিতই দেয়।”
আরও পড়ুন...