ওই সেতুর দুই পাশের দুটি স্টেশনের নামও বদল গেছে।
Published : 22 Dec 2024, 07:23 PM
যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পাল্টানো হয়েছে; যা এখন থেকে যমুনা রেলসেতু নামে পরিচিত হবে।
পাশাপাশি ওই সেতুর দুই পাশের দুটি স্টেশনের নামও বদল গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনের নাম এখন থেকে ইব্রাহিমাবাদ এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশনের নাম দেওয়া হয়েছে সয়দাবাদ।
এ সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় মাসখানেক আগে নাম পরিবর্তনের একটি চিঠি আমাদের কাছে এসেছে। আমাদের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।”
বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে কাছাকাছি দূরত্বে ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়ার তথ্য দিয়েছে প্রকল্প পরিচালক।
রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেতুটির নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন থেকে যমুনা নদীর ওপর নির্মিতব্য সেতুটি যমুনা রেলওয়ে সেতু নামে পরিচিত হবে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়েকে একটি চিঠি পাঠায় রেলপথ মন্ত্রণালয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেল সেতু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই চিঠিতে সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের দুটি স্টেশনের নাম ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্ব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম’ পরিবর্তন করে পশ্চিম অংশের নাম সয়দাবাদ এবং পূর্ব অংশের নাম ইব্রাহিমাবাদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপানের জাইকা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এ রেলসেতু ব্যবহারের জন্য ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।