শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। এর ফলে শ্রম আদালতে ওই মামলার বিচার চলতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
‘মামলা কেন বাতিল হবে না’ জানতে চেয়ে উচ্চ আদালতের রুল খারিজ করে বুধবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
আদালতে মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলা বাতিলের বিষয়ে যে রুল জারি করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এখন থেকে শ্রম আদালতে এ মামলার বিচার কাজ চলবে।”
এক আবেদনের পর গত বছর ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ‘অনারারি (বিনাবেতনে)’ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিল হাই কোর্ট। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিল।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইউনূসের বিরুদ্ধে করা এ মামলার কার্যক্রমের ওপর দুই মাস স্থগিতাদেশ দিয়ে এ সময়ের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
রুলের শুনানি শেষে বুধবার তা খারিজ করে রায় দিল হাই কোর্ট।