সেকেন্ড হোম নিয়ে কথা বললে দেখা যাবে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে, বলেন গণফোরামের এ সাংসদ।
Published : 06 Feb 2023, 12:10 AM
ইংল্যান্ডে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ থাকার কথা জানিয়ে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান অভিযোগ করে বলেন, দেশের অর্থ লুটপাট করে বর্তমান ও সাবেক অনেক সংসদ সদস্য ছাড়াও আমলা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদরা বিদেশে শুধু সেকেন্ড হোম নয়- থার্ড হোম তৈরি করেছেন।
রোববার জাতীয় সংসদে গণফোরামের এ সংসদ সদস্য বলেন, এ সেকেন্ড হোম নিয়ে কথা বললে দেখা যাবে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
তার ভাষ্য, “এ সংসদের বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য, আমলা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ তাদের অনেকেই বাংলাদেশের অর্থ লুটপাট করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া, সেকেন্ড হোম, থার্ড হোম তৈরি করেছেন।
“এটা আমার কথা নয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এ সেকেন্ড হোম নিয়ে কথা বললে দেখা যাবে, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে। তখন প্রধানমন্ত্রী হয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যাবেন, তাই সেদিকে যাব না।”
যুক্তরাজ্যে নিজের সেকেন্ড হোম রয়েছে জানিয়ে মোকাব্বির বলেন, এটা গোপনীয় কিছু নয়। এটা নিয়ে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই।
তার সেকেন্ড হোম কোনো লুটপাটের অর্থ বা বাংলাদেশ থেকে পৈতৃক জমি বিক্রি করে করেননি। ৪০ বছর আগে ইংল্যান্ডে ব্যবসা করে বাড়ির মালিক হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, সেই বাড়িতে বর্তমান সংসদের অনেক সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্যদের আতিথেয়তা করার সুযোগ পেয়েছেন।
সংসদে গত ৯ জানুয়ারি সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের একাংশ উল্লেখ করে মোকাব্বির বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সঠিক তথ্য নিয়ে কথাগুলো বলেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি বিরোধী দলে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছি। আমার সেকেন্ড হোমের কথা বলেছেন, আমার বিলাসী জীবনযাপনের কথা বলেছেন।”
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়ার আরেক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণফোরামের এ সাংসদ দাবি করেন, শক্তিশালী আর দুর্বল যাই বলেন না কেন, এটাই সত্য যে- বর্তমানে এই সংসদে আমিই একমাত্র সত্যিকারের বিরোধী দলের সদস্য।
“যারা বিরোধী দলে আছেন তারা মহাজোটের শরিক দল। তারা ২০১৪ সালে মহাজোটে থেকে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন এবং ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভায় যাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশিত ছিলেন। কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। তাই তারা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে আছেন।”
বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।