Published : 29 Aug 2024, 07:54 PM
বাড্ডা থানার এক হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার বাড্ডায় ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদার নামে (৩১) এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগের মামলায় এই রিমান্ড হয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে টিপুকে মুনশিকে হাজির করে পুলিশ রিমান্ড চাইলে আদালত তার মঞ্জুর করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য টিপু মুনশিকে আট দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই রেজাউল আলম। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার কামাল চার দিন মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণির ওপর আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করে মো. সুমন সিকদারকে হত্যা করে।
ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তার মা মাসুমা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করেন মামলা করেন। টিপু মুনশিকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যখন তাকে আদালতে হারিজ করা হয়, তখন তার মাথায় হেলমেট পরানো ছিল।
এসএই রেজাউল রিমান্ড আবেদনে দাবি করেছেন, ১৯ জুলাই সুমন সিকদার কর্মস্থলে উদ্দেশে বাসা থেকে বের হওয়ার পরে দুপুর ১২টায় উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণির রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কোটা বিরোধী মিছিল চলছিল।
এ সময় সেখানে আসামাত্রই আসামিরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করে বাদীর ছেলে সুমনকে হত্যা করে বলে দাবি করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে টিপু মুনশির সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ায় তাকে ডিবি পুলিশ ও র্যাব-১ এর সহায়তায় ২৯ অগাস্ট রাত ১টায় গুলশানের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে আবেদনে দাবি করে তদন্ত কর্মকর্তা এসএই রেজাউল বলেন, তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
প্রবল গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এরপর একের পর আন্দোলনে হতাহত ও সহিংসতার জন্য একের পর এক মামলা হতে থাকে।
এসব মামলায় এরই মধ্যে অর্ধলক্ষাধিক আসামি করা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের বেশকয়েকজন মন্ত্রী-এমপি। তাদের নিয়ে আদালতেও চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে।