ফাল্গুনের শেষ কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে; এর মধ্যেই অন্তত চার জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃষ্টি না হওয়ায় আরও দুয়েকদিন তাপপ্রবাহ থাকবে।
চৈত্রের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কেটে যাবে উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, সোমবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু, রাঙামাটি, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ মৌসুমের প্রথম দফা তাপপ্রবাহ রোববার শুরু হয় চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান ও সিলেট জেলায়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল বলেন, “বৃষ্টি নেই কোথাও, তাই তাপমাত্রা বাড়ছে। ১৫-১৬ মার্চের দিকে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। চৈত্রের শুরুতে তাপপ্রবাহ কয়েকদিন থাকলেও বৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। কালবৈশাখীর মৌসুম শুরু হচ্ছে, ঝড়বৃষ্টির প্রবণতাও বাড়বে।”
সোমবার সকালে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সীতাকুণ্ড ও রাঙামাটিতে। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারও তা একই রকম থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মার্চে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষ দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে ২-৩টি মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
থার্মোমিটারের পারদ যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।
গত বছর গরমের মৌসুমে ২১ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।