জঙ্গিবাদ বিরোধী জনমত গড়তে ও জনসম্পৃক্ততা অর্জনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
Published : 09 Jan 2024, 11:50 PM
সদ্য সমাপ্ত বছরে ১২০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব; এ সময়ে ৯ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে পুলিশের বিশেষ এ ইউনিটের কাছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, গত বছর জঙ্গি অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করেছে তারা।
কেবল অভিযান নয়, জঙ্গিবাদ বিরোধী জনমত গড়তে ও জনসম্পৃক্ততা অর্জনে র্যাব ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংস্তাটি গত বছর জঙ্গি বিরোধী যেসব অভিযানে সফলতা পেয়েছে, তার মধ্যে আছে-
>২৩ জানুয়ারি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ওরফে মাসুদ এবং আইইডি বা বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলমকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার।
> ১২ মার্চ ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন ওরফে চম্পাইসহ ৯ জনকে বান্দরবানের টংকাবতী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার।
>২৩ জুলাই নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদসহ তিন সদস্যকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেপ্তার।
>৩০ অগাস্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র পাঁচ সদস্যকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার।
>১৪ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সদরে অভিযান পরিচালনা করে আনসার আল ইসলামের উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বশীল মুনতাসির বিল্লাহসহ চারজন গ্রেপ্তার।
> ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানী থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’র ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে আবু মাসরুরসহ ছয়জন গ্রেপ্তার।
> ২৫ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর এলাকা থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’র উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইয়াকুব হোসাইন ওরফে ইয়াকুব হুজুরসহ তিনজন গ্রেপ্তার।
>১০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’র প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ইসহাক ওরফে সাইবাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।