কাগজ সংকটের কথা স্বীকার করলেও ২০২৩ সালের শুরুতে ‘যথাসময়ে’ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কাগজের সংকট কিছুটা আছে। বৈশ্বিকভাবেই কিছুটা আছে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয় কিছু আছে। আবার কিছুটা এখন বই ছাপার মৌসুম, হয়ত এখন কিছুটা চিন্তা করারও আছে আর কি।
“আমার মনে হয় না যে, সেটা নিয়ে খুব বড় সংকট হবে। কিছুটা সংকট আছে। সারাবিশ্বেই মূল্যবৃদ্ধির যে অবস্থাটা চলছে, সেটা নিয়ে একটা সংকটতো আছেই। আমরা আশা করি যে, আমরা বই যথাসময়ে ইনশাআল্লাহ দিতে পারব।”
ছাপা নিয়ে একটু এদিক সেদিক হলেও বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার রীতি বজায় ছিল করোনাভাইরাস মহামারীর আগে পর্যন্ত।
মহামারীর মধ্যে ২০২১ সালে প্রাথমিকের সব বই বিতরণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠনো হলেও ছাপার কাজে বিঘ্ন ঘটায় মাধ্যমিকের সব বই যায়নি। ওই সময়ে মাধ্যমিকের বই বিতরণ করা হয়েছিল কয়েকদিন ধরে।
অপরদিকে দরপত্র জটিলতায় ২০২২ সালেও প্রথম দিন সব বই সব শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি; সব বই পেতে অনেক শিক্ষার্থীকে মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এ বছর দরপত্র দিতে আরও দেরি করেছে এনসিটিবি। ফলে অক্টোবরের শেষ দিকে ছাপাখানাগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে। তাতে আসছে জানুয়ারিতেও সব পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে কাজ নেওয়ার পর এখন ছাপাখানার মালিকরা কাগজে শুল্ক ছাড়ের দাবি করছেন।
দেরিতে কাজ পাওয়া, ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে কাগজের বাজারে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট- সব মিলিয়ে সময়মত সব বই ছাপানো না হওয়ার শঙ্কার কথাই বলছেন ছাপাখানার মালিকরা।