“নারীর ব্যক্তিগত জীবন বিপর্যস্ত করে তাকে এবং তার পরিবারকে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার এই প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে,” বলা হয় বিবৃতিতে।
Published : 04 Feb 2025, 11:01 PM
অনলাইনে নারীর প্রতি ‘রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক যৌন সহিংস আক্রমণে’ উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিৃবতি দিয়েছেন দেশের ৫২ নারী।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্প্রতি রাজনৈতিক বিদ্বেষের কারণে অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীর প্রতি যৌন সহিংস আচরণ ও প্রচারণা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সাংবাদিক শফিকুল আলমের মেয়েকে নিয়ে অনলাইন আক্রমণ আরও একবার প্রমাণ করেছে কীভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “শফিকুল আলমের মেয়ের ছবি কুরুচিপূর্ণভাবে অপর এক নারী শরীরের ছবির সঙ্গে যুক্ত করে এবং বিকৃতভাবে সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের আচরণ নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর এবং অনলাইন সহিংসতার স্পষ্ট উদাহরণ।
“রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দমন করতে নারীর শরীর ও চরিত্রকে লক্ষ্য করে সামাজিক মর্যাদাহানির অপচেষ্টা একটি ন্যক্কারজনক প্রবণতা, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।…নারীর ব্যক্তিগত জীবন বিপর্যস্ত করে তাকে এবং তার পরিবারকে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার এই প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বিবৃতি দাতাদের মধ্যে রয়েছেন- লেখক রেহনুমা আহমেদ, সঙ্গীত শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সাংবাদিক সায়দিয়া গুলরুখ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটি সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির, নৃবিজ্ঞান গবেষক ও লেখক সায়েমা খাতুন, অধিকারকর্মী শামারুহ মীর্জা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক অরণি সেমন্তি খান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।