”আগের ঘরের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে মিমকে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল সোহেল। এসব নিয়ে মাঝে মধ্যে তাদের ঝগড়া হত।"
Published : 19 Dec 2024, 02:37 PM
ঢাকার বাড্ডা আফতাবনগর এলাকায় এক নারীকে 'ছুরিকাঘাতে হত্যার' অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে।
আফতাবনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মো. মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার রাতে স্বামী সোহেলের সঙ্গে বের হওয়ার পর আফতাবনগর বি ব্লকে সুবর্ণা আক্তার মিমকে ‘রক্তাক্ত অবস্থায়’ উদ্ধার করা হয়।
মিম শরিয়তপুরের নওডোবা থানার হাজী অসিম উদ্দিন মাতবর কান্দি গ্রামের সোহরাব খানের মেয়ে। মিম তার সাত মাসের ছেলেকে নিয়ে আফতাবনগরের তিন নম্বর রোডে বোনের পরিবারের সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ওই বাসায় সোহেল যাওয়াআসা করতেন।
মিমের বোন তাহমিনা আক্তার জানিয়েছেন, তার বোনের সঙ্গে সাথে সোহেলের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে এটি। সোহেল পেশায় ব্যাবসায়ী; ঢাকায় মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সোহেল থাকেন।
এস আই মাজহারুল বলেন, “রাতে আফতাবনগর রক্তাক্ত অবস্থায় মিমকে সেখানকার সিকিউরিটি গার্ডরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মিমকে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।"
এস আই মাজহারুল বলেছেন, এই ঘটনার পর পলাতক সোহলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
তাহমিনা বলেন, " মিমের সাথে পরিচয় হবার পর সোহেল বলেছিল তার আগের স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। পরে মিমের সাথে বিয়ে হয়।
"বিয়ের পর জানা যায়, আগের স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়নি। বিয়ের পরেও মিম আফতাবনগরে আমাদের কাছেই থাকত। সোহেল আমাদের বাসায় মাঝেমাঝে আসত। আগের ঘরের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে মিমকে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল সোহেল। এসব নিয়ে মাঝেমধ্যে তাদের ঝগড়া হত।"
তাহমিনা বলেছেন, বুধবার রাতে সোহেল বনানীর যাওয়ার কথা বলে মিমকে বাসা থেকে নিয়ে যায়।
“ভোরে ফোনে জানতে পারি মিম আফতাবনগর নাগরিক হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় আছে। পরে আমরা তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাই। আমাদের ধারণা সোহেলই আমার বোনকে ছুরি মেরে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেছে।"