“মশা নিধনে সর্বশেষ সমীক্ষা প্রতিবেদন দেখে আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছে,“ বলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
Published : 20 Nov 2022, 06:05 PM
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার মশা নিধনে সমন্বিত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় মশা ও মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ণয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বেবিচককে ফের সমীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বোববার বিমানবন্দর এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচি ও সর্বশেষ সমীক্ষা প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। বেবিচকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আইনজীবী সাইফুর রাশেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “মশা নিধনে সর্বশেষ সমীক্ষা প্রতিবেদন দেখে আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছে। ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু মশা মারা সম্ভব হচ্ছে না। মশা নিধনে সরকারের দেওয়া বরাদ্দ খরচ করা হলেও আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। পরে আদালত বিবাদীদের কাছে ফের সমীক্ষা প্রতিবেদন ও মশা নিধনে সমন্বিত পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে।”
আদালতে বেবিচকের জমা দেওয়া সর্বশেষ সমীক্ষায় ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায়, বিআরটিসি স্টাফ বিল্ডিং ও নিকুঞ্জ এলাকায় কিউলেক্স ও এইডিস মশার ঘনত্ব বেশি বলা হয়েছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাই কোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ১২ মার্চ রুল জারি করে আদালত। রুলে বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়।
এর মধ্যে বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর-প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সেসব খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ফেব্রুয়ারিতে সম্পূরক আবেদন করেন আইজীবী তানভীর। এ আবেদনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
মশা ও মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ণয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং বেবিচকের একটি কর্মসূচি চালু রয়েছে। প্রতি দুই মাস অন্তর এ সমীক্ষা চালানোর কথা থাকলেও ২০১৯ সালের জুনের পর সমীক্ষা না চালানোয় গত ৩ এপ্রিল বিমানবন্দরের ভেতরে-বাইরে মশা ও লার্ভার ঘনত্ব নির্ণয়ের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
এরপর থেকে ওই এলাকায় নিয়মিত সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সমীক্ষা প্রতিবেদন আদালতের উপস্থাপন করা হয়।
বিমানবন্দরে মশা তাড়াতে গাপ্পি মাছ, গাঁদা আর তুলসি