বদিউলের রোজাটা টিকবে তো?

এম এল গনিএম এল গনি
Published : 1 April 2023, 05:56 AM
Updated : 1 April 2023, 05:56 AM

 সিয়াম সাধনার এ পবিত্র মাসে অফিস সময় সংক্ষিপ্ত। তাই, অন্য সবার মতো বদিউল সাহেবও সচরাচর অফিস হতে বাসায় ফিরে খোশ মেজাজে থাকেন। বাসায় ফিরে আসরের নামাজটা আদায় করেই ফেইসবুকিং করেন নিয়মিত। সরকারি অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও (সোশ্যাল মিডিয়া) বদিউল যথেষ্ট সরব। প্রায় সাত বছর ধরে ফেইসবুকে আছেন তিনি। সততা নিয়ে ইতিবাচক লেখালেখির কারণে ইতিমধ্যেই তাঁর বন্ধু-ভক্ত-অনুসারীদের মনে তাঁর একটা নির্মল প্রতিচ্ছবি গড়ে উঠেছে ফেইসবুকে। ফলোয়ার আছেন কয়েক হাজার। 'গুড় মর্নিং' লিখে পোস্ট দিলেও কয়েকশ লাইক পড়ে যায় এমনই জনপ্রিয় তিনি। সরকারি অফিসারদের বেশিরভাগই যেখানে দুর্নীতিবাজ বলে জনশ্রুতি আছে, সে পরিবেশে সততার সুনাম থাকায় সামাজিক মাধ্যমে তিনি বেশ শক্ত একটা জায়গা করে নিতে পেরেছেন। সততার কদর কোথায় নেই? দুর্নীতিবাজরাও সৎ মানুষকে শ্রদ্ধা করে। হাজারো ফলোয়ারের কাছে তিনি সততা এবং সফলতার রোল মডেল রীতিমতো। সঙ্গত কারণেই, কাজ শেষে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় ফেইসবুকে। ফেইসবুকে তাঁর এতবেশি সময় দেয়া তাঁর তরুণী স্ত্রী তসলিমা বেগম মোটেও পছন্দ করেন না। তসলিমার সাথে বদিউলের যখন বিয়ে হয় তখন তসলিমা কেবল উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী, বয়স ষোল কি সতের। ওদিকে, বদিউলের তখন সরকারি চাকুরী হয়ে গেছে প্রায় দশ বছর। তার মানে, প্রায় বাইশ বছর আগে যখন তাঁদের বিয়ে হয় তখন তসলিমার বয়স ছিল বদিউলের প্রায় অর্ধেক। বয়স কম হলেও তসলিমা বরাবরই বুদ্ধিমতী আর দূরদর্শী। তাই, বয়সের বিস্তর ফারাক থাকলেও স্বামীর সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছেন দ্রুতই, যদিও সাগর নামের এক ছেলের সাথে তার তুখোড় প্রেম ছিল কলেজে পড়তে। বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ হবার কারণেই হয়তোবা তসলিমা চান স্বামী কাজ শেষে বাসায় ফিরে তাঁর সাথে একান্তে সময় কাটাক, ভালোবাসা-আদরে জাগিয়ে রাখুক তাঁর তুলতুলে দেহমন। - -আজকের দিনটা একেবারেই অন্যরকম। আদর-ভালোবাসা দূরের কথা, অফিস শেষে বাড়ি ফিরে ফেইসবুকেও বসলেন না বদিউল। তাঁর মনটা কেমন যেন উচাটন। উদ্ভ্রান্তের মতো পায়চারি করে চলেছেন এঘর ওঘর। দীর্ঘ বাইশ বছরের সংসার জীবনের সহধর্মিনী তসলিমা বেগমের চোখ এড়ায়নি বদিউলের এ অস্বাভাবিকতা। অবস্থাদৃষ্টে তিনি নিজেও দুশ্চিন্তায় পড়লেন।  - 'মিশুর বাবা, কি হলো তোমার আজ? এমন অস্থির পায়চারি করছো কেন? অফিসে কি খারাপ কিছু ঘটেছে?' - বদিউলের কাছে তাঁর উদ্বেগের কারণ জানতে চান তসলিমা। তসলিমার প্রশ্নগুলো সচেতনভাবেই এড়িয়ে যান বদিউল। কোন কারণে মন খারাপ বা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়লে অনেক সময় মানুষ একা থাকতে পছন্দ করে, কারো সাথে কথা বলতে চায় না। এমনই কিছু মুহূর্ত পাড় করছেন বদিউল। তসলিমা বিষয়টা ঠিক ধরতে পারেন না। আজ জোহরের নামাজ আদায়ের আগে ওযু করার সময় অফিসে যে বিশেষ ঘটনাটি ঘটেছে তা নিয়ে চুপচাপ ভাবতে থাকেন বদিউল। নিজের কাছে নিজেই সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন উদ্ভুত সমস্যার।

- -পঞ্চাশোর্ধ বদিউল তাঁর অফিসে নির্বিবাদী সৎ কর্মকর্তা বলে পরিচিত। দু’দশকেরও বেশি সময়ের দীর্ঘ চাকুরী জীবনে তিনি কারো ফাইল বা নথি আটকে জবরদস্তি অর্থ আদায় করেছেন বলে তাঁর শত্রুরাও দাবি করে না। প্রতি ফাইলে স্বাক্ষর করে তিনি এক হাজার টাকা করে পান। ওই টাকা তাঁর অফিস সহকারী জামিল সাহেবের কাছে জমা হয়। এটাই নিয়ম। নিয়মটা কে কবে ঠিক করে দিয়েছে তা তাঁর জানা নেই। জানার দরকারও বা কি? এই নিয়মে ঠিকঠাক সবকিছু চললে তাঁর কোন ক্ষতি তো আর হচ্ছে না। সেবাপ্রার্থীরা খুশি হয়েই নথি সঞ্চালনে গতি আনতে টাকাটা দেন। কাউকে আটকিয়ে এ টাকা নেয়া হয় না বলে ঘুষ-দুর্নীতির কাতারে একে ফেলা যায় না বলেই বদিউল মনে করেন। এছাড়া তিনি তো পাবলিককে তাঁর অফিসে দাওয়াত দিয়ে ডেকে আনেননি; মানুষ নিজেদের প্রয়োজনেই তাঁর দপ্তরে যায়। কিছু বাড়তি খরচ করতে না চাইলে তারা সরকারি অফিসে না এলেই তো পারে! দফতরের কাজে গতি আনতে কিছু বাড়তি টাকা খরচ হলে তাতে দোষের কিছু দেখেন না বদিউল। তার বিবেচনায়, ঘুষ তো নয়ই, বড়োজোর একে স্পিড মানি বলা চলে। যুক্তিবাদী মানুষ বটে বদিউল! তাঁর চিন্তাভাবনাও স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার। ওদিকে, সততা আর বিশ্বস্ততায় তাঁর সহকারী জামিল সাহেবেরও জুড়ি নেই। বছর তিনেক আগে বদিউল যখন পরিচালক হিসেবে এ অফিসে যোগ দেন, তখন প্রথম প্রথম কয়টি ফাইল বা নথিতে তিনি প্রতিদিন স্বাক্ষর করেছেন গোপনে তা টুকে রাখতেন। টানা তিনমাস নজরদারি করেও জামিল সাহেবের হিসেবে কোন গরমিল খুঁজে পাননি। বদিউলের বাড়তি আয়ের হিসেবটা খুব সহজ। ফাইলের সংখ্যাকে এক হাজার দিয়ে গুন করলেই হিসেব পাওয়া যায়, জটিল কোন অংক কষতে হয়না। সেই থেকে জামিল সাহেবের প্রতি অগাধ বিশ্বাস জমেছে তাঁর। ফলে, আজকাল আর ঐভাবে ফাইলের সংখ্যা গুনেন না বদিউল। জামিল যা বলেন তা-ই চূড়ান্ত। মিথ্যানির্ভর এ কলিযুগে এমন নীতিবান ও সত্যবাদী একজন সহকারী পেয়ে বদিউল নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবেন। নিয়ম মেনেই প্রতিদিন তিরিশ-চল্লিশ হাজার টাকা উপরি আয় হয় বদিউলের। তাঁর নির্দেশনামতো, জামিল সাহেব টাকাটা সমান তিন ভাগ করে তিন বান্ডিলে কর্মদিবস শেষে স্যারের (বদিউল) হাতে তুলে দেন। সৎ মানুষের সামাজিক স্বীকৃতি এবং ঘুষ-দুর্নীতির বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেবার কারণে বদিউল কখনও নিজ হাতে কারো কাছ থেকে উপরির টাকা গ্রহণ করেন না। হাশরের ময়দানে যেন নিজের দুটি হাত তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে না পারে সে চিন্তাও তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। ফেইসবুকের কল্যাণে তাঁর সৎ মানুষের যে একটা পাবলিক ইমেজ গড়ে উঠেছে তাও তিনি যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে চান। এযাবৎ তাতে সফলতাও পেয়েছেন কানায় কানায়। এক কথায়, ইহকাল এবং পরকাল দুটোই তাঁর ফকফকা। টাকার তিন বান্ডিলের একটি অফিসে তাঁর গোপন সেইফে জমা রাখেন বদিউল। এই টাকার একটি অংশ তাঁর পেছনে অহেতুক লেগে থাকা দুর্নীতি দমন অফিসের দুর্নীতিবাজ লোকজন, আর সুযোগসন্ধানী সাংবাদিকের পেছনে খরচ হয়। আর কিছু টাকা যায় তাঁরই অফিসের এক স্টেনো-কাম-টাইপিস্ট সুনন্দার পেছনে। সুনন্দার সংসার ভেঙে গেলে বদিউল সাহেবই তাঁর স্কুলে পড়ুয়া ছেলে দুলালের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। দুলাল ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। তার খরচ চালানোর কাজটা তিনি সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই করেন। কেননা, তাঁর বাড়াবাড়ির কারণেই সুনন্দার সংসার ভেঙেছে বলে একটা গুঞ্জন চাউর আছে। দুলালের পড়াশোনার খরচটা তিনি তসলিমার অলক্ষ্যেই দেন। ঢাকঢোল পিটিয়ে কাউকে অর্থ সহায়তা দেবার বিপক্ষে বদিউল। প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে কাউকে অর্থ সহায়তা দেবার বিষয়ে ধর্মেও মানা আছে। তাই, দুলাল বা তার ডিভোর্সি মা সুনন্দাকে সহায়তা দেবার বিষয়টি বদিউল শতভাগ গোপন রেখে চলেছেন স্ত্রী তসলিমার কাছ থেকে। গোপন সহায়তার বিষয়টি জানেন কেবল তাঁর বিশ্বস্ত সহকারী জামিল।টাকার বাকি দুটি বান্ডিল বাসায় নিয়ে তসলিমা বেগমের হাতে তুলে দেন বদিউল। এভাবে, সরকারি বেতনের বাইরে আহরিত অর্থের সিংহভাগই চলে যায় তসলিমার পকেটে। তসলিমা কিন্তু এ টাকার অপচয় করেন না। ওই টাকা থেকে অল্প কিছু বদিউল সাহেবকে হাত খরচের জন্য দেন তিনি। বাকি টাকা তাঁর (তসলিমা) একমাত্র ভাই কানাডার নাগরিক শাহেদের কাছে হুন্ডিতে পাঠান। শাহেদ তাঁর খরচের টাকাটা রেখে বোন তসলিমাকে ডলারে বাকি টাকা 'উপহার' হিসেবে পাঠিয়ে দেন। তসলিমার অর্থ ব্যবস্থাপনা চমৎকার। তাঁর বাবাও সরকারি চাকুরী করতেন। সে হিসেবে মায়ের কর্মকান্ড তিনি এসব গুণাবলী রপ্ত করেছেন। তসলিমার বুদ্ধিমত্তায় কানাডাপ্রবাসী শাহেদের 'উপহারের অর্থে' প্রায় অর্ধডজন প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক আজ তসলিমা এবং তাঁর মা, মানে, বদিউলের শাশুড়ি আম্মা। ভাইয়ের নামে কানাডায় একটা বাড়িও আছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, কানাডায়ও শাহেদের ব্যবসা বাণিজ্যে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। ভগবানের কৃপায় শাহেদ এখন কানাডার ক্যালগেরি শহরের অন্যতম বাঙালি মাল্টিমিলিওনেয়ার।

- -বদিউলের অস্থিরতা কমার লক্ষণ না দেখে তসলিমা আরেকবার জোর দিয়ে জানতে চান, 'বলোতো তো মিশুর বাবা, তোমার হয়েছেটা কী? বেশি খারাপ লাগলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে তোমাকে; খুলে বলো তোমার কী হয়েছে, কেমন লাগছে?' - আমার আজকের রোজাটা মনে হয় কবুল হবে না তসলিমা। হাশরের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে কি জবাব দেব তা নিয়েই ভাবছি। জানো তো, ভালোমন্দের পাইপাই হিসেবে নেবেন তিনি। ফরজ রোজা ভেঙে ফেলার কোন শক্ত জবাব যে আমার নেই! আমার যে কি হবে? ...- কেন? তোমার রোজা টিকবে না কেন? কী হয়েছে, খুলে বলো? (চোখের ইশারায় পুরুষাঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করে) অফিসে ওটা দিয়ে খারাপ কিছু বেরটের হয়েছে নাকি? ... সুনন্দাকে সন্দেহ তসলিমার। - আরে না, রোজা-রমজানের দিনে এসব কি বলছো তুমি? তোমার মাথায় কেবল কাম আর কাম; আসলে তোমার উচিত ছিল আমার মতো বুড়োকে বিয়ে না করে বখে যাওয়া ওই সাগরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধা। ... (একটু থেমে, কিছুটা শান্ত হয়ে) জানো তসলিমা, জোহরের নামাজের ওযু করার সময় কুলকুচি করতে গিয়ে ভুলে অনেকখানি জল গিলে ফেলেছি। গলা দিয়ে পানিটা একটু বেশিই ঢুকেছে। সেই থেকে টেনশনে আছি, ভীষণ টেনশনে, আমার রোজাটা টিকবে তো? সামনের বছর যে রোজা রাখার সুযোগ পাবো তার তো কোন গ্যারান্টি নেই। দেখলে না, কত অল্প বয়সে রফিক সাহেব চলে গেলেন! বদিউলদের অফিসের রফিক নামের এক তরুণ কর্মকর্তা মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আকস্মিক মারা যান মাস দুয়েক হলো। সেই থেকে প্রায় প্রতিদিনই কারণে অকারণে রফিকের প্রসঙ্গ চলে আসে বদিউল সাহেবের কথাবার্তায়। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় আজকাল মৃত্যুভাবনা তাঁর অনেক বেশি। - 'অসাবধানতায় সামান্য পানি গিলেছো, তা নিয়ে এতো টেনশনের কী আছে? তুমি ইচ্ছে করে তো আর পানি গেলোনি!'  - প্রিয়তম স্বামীকে বুঝাতে চেষ্টা করেন তসলিমা। মানসিক চাপে থাকলে অনেকসময় ভালো কথাও ভালো শোনায় না, যৌক্তিক বাণীও অযৌক্তিক ঠেকে। বদিউলেরও সে অবস্থা হয়েছে। তিনি বিরক্তির সুরে তসলিমাকে বললেন: 'জানো? ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম এই রোজা। রোজা ভাঙার সাজা কি তুমি তো জানো না। তোমাকে এসব বুঝাতে পারবো না তসলিমা বেগম, যাও যাও, আমাকে একটু একা থাকতে দাও, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করি। ... তুমি রান্নাঘরের মানুষ, রোজার গুরুত্ব তুমি কি বুঝবে? যাও, রান্না ঘরে যাও, কোমর বেঁধে রহিমার মার সাথে রান্নাবান্না করোগে। 'কথাবার্তায় বদিউলের বাড়াবাড়ি তসলিমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটায়। সত্য হলো, তসলিমা কোন অর্থেই বদিউলের চেয়ে কম রোজাদার বা ধার্মিক নন। ঋতুবতী তসলিমাকে পিরিয়ডের কারণে যে কটা রোজা ছেড়ে দিতে হয় তাও ঈদের পরপর তিনি সেগুলো পূরণ করে দেন, একটুও দেরি করেন না। ক'জন মেয়ে এ কাজটি করে বলুন তো? এতোটাই সিরিয়াস ধার্মিক তিনি। এমন এক পাকা রোজাদার তসলিমাকেই কিনা চরম অবজ্ঞায় রোজার গুরুত্ব বুঝানোর চেষ্টা! তসলিমা তা বিনাবাক্যে মেনে নেবেন কেন?  প্রত্যুত্তরে তসলিমাও বদিউলকে দু'কথা শুনিয়ে দেন: 'এই রোজা-রমজানের দিনে ঘুষের টাকার দু'দুটি ইয়া মোটা বান্ডিল জেনেবুঝে গিলেও তোমার কোন আক্ষেপ-অনুতাপ নাই, আর ওদিকে, অসাবধানতায় সামান্য পানি গেলাতেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল; তামাশা আর কতো দেখাবে এই এক জীবনে? তোমার পাগলামোতে জীবনটা ঝালাপালা হয়ে গেলো। তারচেয়ে বরং সাগরের সাথে পালালেই বেঁচে যেতাম। ... এক নিঃশ্বাসে ক্ষোভ ঝেড়ে তসলিমা দ্রুতলয়ে রান্নাঘর অভিমুখে রওনা দিলেন।