মোয়াজ্জেম হোসেনের ছাপচিত্রে ‘শহরনামা’

ঢাকা, কলকাতা ও হাংচৌ শহরে বসবাসের অভিজ্ঞতা ছাপচিত্রের ক্যানভাসে এঁকেছেন শিল্পী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2022, 03:20 PM
Updated : 18 Dec 2022, 03:20 PM

ঢাকার সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে শুরু হয়েছে চিত্রশিল্পী মোয়াজ্জেম হোসেন জনির প্রথম একক ছাপচিত্র প্রদর্শনী ‘শহরনামা’। ঢাকা, কলকাতা ও হাংচৌ শহরে বসবাসের অভিজ্ঞতা ছাপচিত্রের ক্যানভাসে এঁকেছেন শিল্পী।

প্রদর্শনীতে শিল্পীর ৪১টি ছাপচিত্র স্থান পেয়েছে। যেখানে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চুড়ি বিক্রি থেকে শুরু করে সংগ্রামী মানুষের গল্প উঠে এসেছে। প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন মো. সাজিদুল হক। 

রোববার শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত প্রদর্শনী দেখতে পারবেন সবাই।

রোববার সন্ধ্যায় প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক এ এস এম ড. মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং বিভাগে স্নাতক করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন জনি। পরবর্তীকালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের হাংচৌ শহরের একাডেমি অব ফাইন আর্টসে উচ্চতর পড়ালেখা করেন। এই তিন শহরে বসবাসের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শিল্পকর্মগুলো তৈরি হয়েছে বলে জানান মোয়াজ্জেম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০০৮ সাল থেকে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত এক যুগ ধরে এই শিল্পকর্মগুলো তৈরি করেছি। বাংলাদেশ, ভারত ও চীনে বসবাস করতে গিয়ে তিন শহরের মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি আমাকে ভাবিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে আমার শিল্পকর্মে।”

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “শিল্পী যখন তার ক্যানভাসে কিছু করেন, তখন সাধারণ অনেক কিছুও অসাধারণ হয়ে উঠে। তরুণ শিল্পী মোয়াজ্জেম হোসেনের শিল্পকর্মগুলো যেন সাধারণ থেকেও অসাধারণ।”

অধ্যাপক আবুল বারক আলভী বলেন, “জনি ছাত্র থাকা অবস্থা থেকেই নিজেকে শিল্পে নিবেদিত করেছে। ছাপচিত্র নিয়ে পড়তে গিয়ে তিনটি শহরে বসবাসের যে অভিজ্ঞতা শিল্পে এঁকেছে, সেটি ভালো লেগেছে।"

অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, “যে কোনো কিছুতে নিজস্ব স্টাইল প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন কাজ, আবার কঠিন নয়। মোয়াজ্জেম হোসেন তার কাজের মধ্য দিয়ে একটা স্টাইল গড়েছেন, এই পথে সে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি।”

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা বলেন, “শিল্পকর্মে প্রতিভার চেয়েও অনুশীলন বেশি জরুরি বলে আমি মনে করি। আমি মোয়াজ্জেম হোসেনের মধ্যে সেই অনুশীলন চর্চা দেখেছি।”