Published : 29 Nov 2021, 11:27 PM
ফাতেমার পেটে যহন বাচ্চা আইলো তহন সে বস্তির দিদির রে গিয়া খবর কয়। দিদি অনেক মুশকিল আসান জানে তাই অন্যেকে মানুষ যায় তার কাসে। আধা মাইল দূরে যে বাড়িতে কাম করে হেই বাড়ির সাহেবের থন হইসে। তারে শুইতে হয় বেতনের উপরির জন্য। বিবি সায়েবের সাথেও শুইতে হয় সকাল বেলা। ফাতেমা জানে না সাহেব জানে কিনা এইডা। সে কাউরে কিসু কয় না। ভাল টেহা দেয় আর কি। কিন্তু এই আপদ হইলো হঠাৎ। সে ভাবসে এইসব বুইঝাই সায়েব কাম করে। যহন কৈসে তহন তাড়ায় দিসে ভাঙা মাসের পুরা বেতন দিয়া।
২
দিদি তারে লইয়া যায় আকবর ফকিরের কাসে। " বাসচা মাইয়া, বিয়া হয় নাই। একটা কিসু কইরা দেন। ডাক্তারের পয়সা পাইবো কেমনে।"
আকবর ফকির জিগায়, " কয় দিন হইসে?"
"৩ মাস চলতাসে।"
"আগে আসোস নাই ক্যান? "
" বুজি নাই। "
আকবর চুব থাকে, তারপর জিগায়, " মায়া হইসে?"
ফাতেমা কিসু কয় না। ফকির ডাক দিয়া কাসে বহায়। মন্ত্র সূরা পড়তে কয়, তারপর পানি খাইতে দেয়।
" কাল দুপুরে আসিস, ৫০০ টাকার নোট আনবি।"
ফাতেমা আর দিদি যায় গা।
৩
ফাতেমা রে দিদি ধইরা আসিল যহন মাংসটা বাইর হয়, বেশি রক্ত যায় নাই। ফকির বাবা ঐটারে হাতে রাখে। কয়, " চৌখ খুলিস না, মায়া হইবো।" তারপর একটা বড় গুঁড়া দুধের টিনে রাইখা দেয় ঐটা। দুইজনরে সা নাস্তা দেয়। ওরা খায়, তারপর বাড়িত জায়গা। ফাতেমার হালকা লাগে। নতুন কামের খোঁজ শুরু।
৪
ফাতেমা দশ দিন পর ক্যান আকবর ফকিরের কাসে গেসিলো জানে না। চুপ কইরা খাড়ায় সিলো। ফকির তারে দেইখা হাঁসে। কাসে ডাকে, তারপর কয়, " তুই শুদু না, হজ্ঞলে আহে, লজ্জা করিস না। "
তারে লইয়া যায় পাশের টানার এক টুকরা জমিতে। দেহে ছোট্ট ছোট্ট ঢিবি আর চারদিকে প্রজাপতি উড়তাসে। " তুই সিন্তে পারবি না। সামনে যাইয়া খাড়া।" ফাতেমা খাড়ায় থাকে, আকাশ অন্ধকার কইরা পাখির মতো উড়তাসে কত পর্যাপতি। তার মধ্যে একটা নাইমা আসে তার কাসে হলুদ ডানা ঝাপটায় বারবার।