বিশ্বশক্তিগুলো পরমাণু চুক্তির পাশিপাশি ইরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা একসঙ্গে প্রত্যাহার করে নিলেই কেবল ইরান চুক্তি করতে সম্মত হবে।
Published : 16 Apr 2015, 11:41 AM
বুধবার এক কথা জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইরানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরমাণু চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির কংগ্রেসকে ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে বাধ্য হওয়ার একদিন পর এ কথা বললেন রুহানি।
ওবামার সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের ভেটো দেয়ার অধিকারও দেয়া হয়েছে।
এভাবে প্রভাবশালী কংগ্রেসের হাতে ক্ষমতা দেয়ার মাধ্যমে ছয় বিশ্বশক্তি ও ইরানের মধ্যে হতে যাওয়া চূড়ান্ত চুক্তির আলোচনায় একটি অনিশ্চয়তা ঢুকে পড়েছে।
এই চূড়ান্ত চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্খা নিয়ন্ত্রণের বিনিময়ে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে রুহানি বলেছেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ না হলে, চুক্তিও হবে না।”
গেল সপ্তাহে ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও একই কথা বলেছিলেন।
“এসব আলোচনার শেষে একটি চুক্তি সই হলে এতে অবশ্যই মহান ইরান জাতির ওপর আরোপিত দমনমূলক এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণাও থাকতে হবে,” বলেন বাস্তববাদী হিসেবে পরিচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট।
২ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে একটি খসড়া চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আলোকে ৩০ জুনের মধ্যে ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা।
ওই লক্ষ্যে ২১ এপ্রিল থেকে দুপক্ষের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু খসড়া চুক্তির সমঝোতা নিয়ে ইতোমধ্যেই দুপক্ষ থেকে দুধরনের কথা শোনা যাচ্ছে।
এতে বোঝা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের বিষয়টি ছাড়াও দুপক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে ভালোই বেগ পেতে হবে।