মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে চলমান সব আইনি কার্যক্রম আদালতকক্ষ থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে সেনা শাসকরা।
Published : 22 Jun 2022, 06:53 PM
কোনও কারণ ব্যাখ্যা না করেই সামরিক সরকার এ নির্দেশ দেয়। সু চির মামলা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
নোবেল জয়ী গণতান্ত্রিক নেত্রী সু চির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের কমপক্ষে ২০টি মামলা রয়েছে।
গত বছরের শুরুর দিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে ৭৭ বছর বয়সী এই নেত্রী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগসহ একের পর এক মামলা করা হয়।
সু চিকে রাজধানী নিপিধোর একটি গোপন স্থানে বন্দি রাখার অনুমোদন দিয়েছেন জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইং। উস্কানি ও ছোটখাটো কয়েকটি অপরাধে ইতোমধ্যে সু চির সাজা হয়েছে। তবে তিনি সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
সু চির মামলা সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিপিধোর কারাগারে নতুন একটি বিশেষ আদালতে মামলাগুলোর শুনানি হবে। তাছাড়া, আদালত বসানোর জন্য নতুন একটি ভবন প্রস্তুত হয়েছে বলে বিচারক ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সু চির ম্যারাথন বিচার প্রক্রিয়া এতদিন রুদ্ধদ্বার আদালতে চলেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেবল এ ব্যাপারে সীমিত তথ্য দেয়। সু চির আইনজীবীদের এ নিয়ে বাইরে কথা বলা নিষিদ্ধ। তারা শুধু আদালত চলাকালে সু চির সঙ্গে কথা বলতে পারে।
মিয়ানমারে চলমান সংকটের ব্যাপারে সু চি কতটুকু জানেন, তা স্পষ্ট নয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জান্তা সরকার ক্ষমতা দরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদেরকে মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধ মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে।
সু চির সাজাকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে তার মুক্তি দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সামরিক বাহিনী বলছে, সু চিকে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় তার প্রাপ্য আইনি সুবিধাই দেওয়া হচ্ছে।