যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ফ্লাইট তিন ঘণ্টা দেরিতে ভিয়েতনাম পৌঁছেছে, এর কারণ হিসেবে তথাকথিত হাভানা সিনড্রোমের মতো ‘অস্বাভাবিক একটি স্বাস্থ্যগত ঘটনাকে’ দায় দেওয়া হচ্ছে।
Published : 25 Aug 2021, 12:46 PM
২০১৬ ও ২০১৭ সালে কিউবার রাজধানী হাভানায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দূতাবাসের লোকজনের মধ্যে প্রথম এই রহস্যময় রোগ লক্ষণটি প্রকাশ পেয়েছিল। এই লক্ষণে আক্রান্তরা মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, তীব্র মাথাব্যথা ও স্মৃতি হারানোর মতো সমস্যায় পড়েন।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন হ্যারিস সিঙ্গাপুরে ছিলেন। হ্যানয়ে কে এতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যানয়ে ঘটা ঘটনাটি এর আগে অন্যান্য জায়গা থেকে আসা হাভানা সিনড্রোমের প্রতিবেদনগুলোর মতো একই ধরনের ছিল।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সম্ভাব্য অস্বাভাবিক স্বাস্থ্যগত ঘটনার’ প্রতিবেদন পাওয়ায় মঙ্গলবার হ্যারিসের সিঙ্গাপুর থেকে হ্যানয় যেতে দেরি হয়।
‘সতর্ক পর্যালোচনার পর’ হ্যারিস ও তার প্রতিনিধি দল হ্যানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে তারা। হ্যারিস এখন সেখানে আছেন।
সিবিএস নিউজের দেওয়া উদ্ধৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রোববার অন্তত একজন কূটনীতিক কর্মকর্তাকে চিকিৎসাজনিত কারণে হ্যানয় থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। ভিয়েতনামে হাভানা সিনড্রোমের ঘটনা আগেও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুই কূটনীতিকের বাড়িতে ‘শব্দজনিত’ ঘটনার কথা জানার পর তাদের সরিয়ে আনা হয়।
কিউবায় এই সিনড্রোমের কথা প্রথম জানার পর থেকে গত মাসে অস্ট্রিয়া, এর আগে চীন থেকেও এ ধরনের ঘটনার কথা জানা গেছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকশ কূটনীতিক, গোয়েন্দা ও অন্যান্য কর্মী এই রোগ লক্ষণে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে কিউবায় অসুস্থ হওয়া কূটনীতিকদের ‘মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা’ খুঁজে পায়।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভবত মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ এই রহস্যময় রোগের কারণ।