চীনের পর এশিয়ায় নতুন করোনাভাইরাসের ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছছে ১১ শর বেশি।
Published : 26 Feb 2020, 01:10 PM
বুধবার দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক সৈন্যসহ নতুন করে ২৮৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এদের নিয়ে এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৬১ জনে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে এমন শঙ্কার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত করেছে।
সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করোনাভাইরাসে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ এ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বুধবার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
কোরিয়ান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) জানিয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৩৪ জন দায়েগু শহরের বাসিন্দা।
নতুন করোনাভাইরাসে দায়েগুর একটি গির্জার অনুসারীরাই সবচেয়ে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এই গির্জার দুই লাখেরও বেশি সদস্যের ভাইরাস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশের সঙ্গে এই শিনচেওনজি গির্জার সম্পর্ক আছে। নিকটবর্তী চেওংদো কাউন্টির একটি হাসপাতালেও অনেক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। শিনচেওনজি গির্জার কিছু সদস্য ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর সেখানে সংক্রমণ ছড়ায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
A USFK soldier stationed at Camp Carroll tested positive for COVID-19, marking the first time a U.S. service member has tested positive for the virus. We’re implementing all appropriate control measures to protect the force. https://t.co/kkfEIuW7Jb
— U.S. Forces Korea (@USForcesKorea) February 26, 2020
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দায়েগু থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ক্যাম্প ক্যারোলে ২৩ বছর বয়সী এক সৈন্য নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এর আগে মার্কিন এই সামরিক ঘাঁটির কাছে একটি প্রতিবন্ধী কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছিল।
আক্রান্ত ওই সৈন্য ঘাঁটির বাইরে নিজের বাড়িতে নিজেকে স্বেচ্ছা-কোয়ারেন্টিন করেছেন বলে কোরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনী ইউএসএফকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এ সৈন্য সম্প্রতি দায়েগুর ক্যাম্প ওয়াকারে গিয়েছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক সেনার বিধবার শরীরের ভাইরাসটির অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। তিনি ক্যাম্প ওয়াকারসহ দায়েগুর নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে যাওয়ার পর আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।