ইরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ইউক্রেইনের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে।
Published : 08 Jan 2020, 09:08 AM
বুধবার ইউক্রেইন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ওই উড়োজাহাজের সব আরোহী নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কারিগরি সমস্যার কারণে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে ইরানের জরুরি বিভাগের প্রধান পীর হোসেইন কৌলিভান্দ বলেছেন, “আগুন অত্যন্ত তীব্র হওয়ায় আমরা কোনো উদ্ধার কাজ করতে পারিনি। আমাদের ২২টি অ্যাম্বুলেন্স, চারটি বাস অ্যাম্বুলেন্স ও একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে আছে।”
Horrific vid of the Boeing 737 of #Ukraine airline w/ 180 passengers burning in the sky & crashing just outside of #Tehran mins after taking off. #Iran is having a really dark day. Over 60 killed in the stampede, then scare of an all out war and now this. pic.twitter.com/Qvtf5hdwkg https://t.co/OGz90NdeH0
— Bahman Kalbasi (@BahmanKalbasi) January 8, 2020
ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মুখপাত্র রেজা জাফরজাদেহি উড়োজাহাজটিতে ১৭৬ জন যাত্রী ও ক্রু ছিল বলে জানিয়েছেন।
এয়ার ট্র্যাকিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের তথ্যানুযায়ী, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ফ্লাইট পিএস ৭৫২ এবং সেটি ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভে যাচ্ছিল। তিন বছরের পুরনো এই উড়োজাহাজটি বোয়িং ৭৩৭-এনজি মডেলের ছিল বলে জানিয়েছে তারা।
বোয়িংয়ের এর মুখপাত্র গর্ডন জনড্রো জানিয়েছেন, ইরানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনগুলোর ওপর চোখ রাখছেন তারা এবং ঘটনাটির বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের এই ঘটনাটির সঙ্গে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।