গত সপ্তাহে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ হারিকেন ডোরিয়ানে ধ্বংস হওয়ার পর সেখানকার দুর্গতরা প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ায় ও লুটপাট বন্ধে সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
Published : 09 Sep 2019, 02:43 PM
আবাকো দ্বীপের বাসিন্দারা সরকারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুললে বাহামাসের কর্মকর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন, জানিয়েছে বিবিসি।
বাহামা দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী পাঁচ মাত্রার এ হারিকেনের তাণ্ডবে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে। ডোরিয়ান ঘণ্টায় একটানা সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে বাহামাসের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসও আঘাত হানে।
এখনো হাজার হাজার লোক নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা কয়েকশত ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে লুকোছাপার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
দুর্গত প্রায় ৭০ হাজার লোকের জরুরি খাদ্য ও আশ্রয় দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এই দ্বীপটির ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখান ত্রাণ আসার গতি অত্যন্ত ধীর বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৩৭ বছর বয়সী টেপিটো ডেভিস বলেন, “আহতদের আনা-নেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো থেকে জ্বালানি বের করে নিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এখানে কোনো খাবার নেই, কোনো ওষুধ নেই, পানি নেই। এখানে আমরা দুর্ভোগে আছি কিন্তু কেউ আমাদের খবর নিচ্ছে না।”
বাহামাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডুয়াইন স্যান্ডস জানিয়েছেন, নিখোঁজ লোকজনকে খুজে বের করা ও আহতদের খাবার, পানি ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়াতেই এখন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৫০০ জনকে যাত্রীবাহী বিমান, ক্রুইজ লাইনার্স ও সরকারি জাহাজে করে নাসোয় পাঠানো হয়েছে। শনিবার একটি ক্রুইজ লাইনার ১৪০০ লোককে নিয়ে ফ্লোরিডার রিভিয়েরা বিচে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
হারিকেন ডোরিয়ান অনেকটা শক্তি হারিয়ে এখন ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শনিবার এটি কানাডার নোভা স্কশিয়া প্রদেশে আঘাত হানে। ডোরিয়ানের প্রভাবে এখানে গাছাপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি সাড়ে চার লাখ লোক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।