ভারতের ঋণ জর্জরিত বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটই আপাতত বন্ধ রেখেছে। অভ্যন্তরীন ফ্লাইটগুলোতেও কাটছাঁট চলছে। এতে করে সংস্থাটির টিকে থাকা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
Published : 12 Apr 2019, 07:02 PM
শুক্রবার ভারত থেকে কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, জেট এয়ারওয়েজ ইউরোপ এবং এশিয়াসহ সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
১শ’ কোটি ডলারেরও বেশি ঋণের ভারে জর্জরিত এ বিমান সংস্থাটি পতন ঠেকাতে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালাতে গেলে ভারতের বিমান সংস্থাগুলোকে অন্তত ২০ টি বিমানের বহর পরিচালনা করতে হয়।
বৃহস্পতিবার জেট এয়ারওয়েজ লিজ দেওয়া ফার্মগুলোর ভাড়া মেটাতে না পারায় ১০ টি বিমান বসিয়ে দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি এখন ১৪ টি বিমান পরিচালনা করছে বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যমে।
এয়ারলাইন্সটির বহরে আছে ১শ’র বেশি বিমান। ৬শ’ টি অভ্যন্তরীন এবং ৩৮০ টি আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াত করে বিমানগুলো।
লন্ডন এবং ভারত রুটে ১২ এপ্রিলে ফ্লাইট বাতিল করার কথা লন্ডন থেকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। তবে অন্যান্য রুটের ব্যাপারে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের চ্যাঙ্গি এয়াপোর্ট জানায়, সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট বন্ধ করেছে জেট এয়ারওয়েজ। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার দিল্লি থেকে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, আমস্টার্ডাম এবং কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বাতিল করা হয়। বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে জানানো হয় সে খবর।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিল্লি-মুম্বাই রুটেও জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
যত দিন যাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজের সমস্যা আরো বাড়ছে। ঋণ মেটাতে ব্যর্থ, পাইলট ও কর্মীদের বেতন বকেয়ার মতো একাধিক সমস্যার জেরে ফ্লাইট বন্ধ করে দিতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।
পাইলট-ইঞ্জিনিয়ারা অনেকেই কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন। বাকিরা শিগগিরই বেতন না পেলে কাজ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষকে। পাইলট ইউনিয়ন বকেয়া বেতনের দাবিতে শনিবারই বিক্ষোভে নামার পরিকল্পনা করছে।