মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) তাদের অনুসারীদের বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অপরাধ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
Published : 13 Mar 2019, 07:10 PM
সম্প্রতি এআরএসএ’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে হত্যা এবং অপহরণের বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনের সীমান্ত ফাঁড়িতে এআরএসএ’র হামলায় নয় পুলিশ নিহত হওয়ার পর প্রদেশটির রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়।
সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে গত কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি হত্যা ও অপহরণের জন্য এআরএসএ সদস্যদের দায়ী করা হয়।
এআরএসএ’র পক্ষ থেকে শরণার্থী শিবিরে নৃশংসতার এ খবর স্বীকার করা হলেও দলীয় সিদ্ধান্তে ওই সব ঘটনা ঘটছে না বলে দাবি তাদের।
টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এআরএসএ বলেছে, “ওই ব্যক্তিরা শুধু বাংলাদেশ সরকারের বিপক্ষেই কাজ করছে না, বরং তাদের নিজেদের অপরাধের দায় এআরএসএ’র ঘাড়ে চাপছে।”
“এবং তাদের অপরাধ কান্ডের কারণে সারা বিশ্বের সামনে পুরো রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।”
ওই ভিডিওতে এআরএসএ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং শরণার্থী ‘শিবিরের আশেপাশে ওইসব অপরাধ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে, যা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যায়।