সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে কে হত্যা করেছে তা নির্ণয় করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের করা অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
Published : 09 Feb 2019, 09:14 PM
অক্টোবরে মার্কিন সিনেটররা খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও এ ঘটনার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের আরও তথ্য দেওয়া উচিত দাবি করে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন।
এক বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসশনাল কমিটির অনুরোধে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প নিজ অধিকারবলে ওই অনুরোধে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন বলে খবর বিবিসির।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ম্যাগনেটস্কি অ্যাক্ট’ ভেঙেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ডেমোক্রেটিক সিনেটররা এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। ওই অ্যাক্ট অনুযায়ী সিনেটের কমিটি নেতারা কোনো অনুরোধ জানালে ১২০ দিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শুক্রবার ওই সময়সীমা পার হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সিনেটের নেতাদের কাছে লিখিত এক প্রতিবেদনে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন, কিন্তু সেখানে খাশুগজি হত্যার জন্য কে দায়ী সে বিষয় কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি; যার দাবি জানিয়েছিলেন সিনেটররা।
গত বছরের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে প্রবেশের পর খাশুগজিকে হত্যা করা হয়।
তিনি সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক ছিলেন। খুনের পর তার মৃতদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত খাশুগজির লাশের কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সম্ভব নয় বলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল। তদন্তের জন্য তারা তুরস্কও সফর করে।
ওই দলের সদস্য ব্যারোনেস হেলেনা কেনেডি শনিবার বিবিসিকে বলেছেন, খুনটির পরিকল্পনা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই করা হয়েছিল।
কিন্তু সৌদি কর্মকর্তারা বলে আসছেন, সৌদি গোয়েন্দাদের একটি ‘দুর্বৃত্ত’ দল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের আদেশ না মেনে খাশুগজিকে হত্যা করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সৌদি আরবের শীর্ষ ১৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সরাসরি দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের নিন্দা না করায় সিনেটরদের নিন্দার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।