ঈদুল ফিতরের অস্ত্রবিরতি শেষ হওয়ার পর প্রথম বড় ধরনের হামলায় তালেবান জঙ্গিরা ৩০ আফগান সৈন্যকে হত্যার পাশাপাশি একটি সামরিক ঘাঁটির দখল নিয়েছে।
Published : 20 Jun 2018, 03:14 PM
বুধবার পশ্চিমাঞ্চলীয় বাদজিস প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রদেশটির গভর্নর জানিয়েছেন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
তালেবান ঘোষিত তিন দিনের ওই অস্ত্রবিরতি রোববার শেষ হয়।
প্রাদেশিক গভর্নর আব্দুল কাফুর মালিকজাই জানিয়েছেন, ভোররাতে দুটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায় তালেবান।
বাদজিস প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান আব্দুল আজিজ বেক জানিয়েছেন, বালামারগাব জেলায় একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা।
“কয়েকটি দিক থেকে বিপুল সংখ্যক তালেবান এসে হামলা শুরু করে। কয়েক ঘন্টা ধরে ব্যাপক লড়াইয়ের পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হন এবং তালেবান ঘাঁটিটি দখল করে নেয়,” বলেছেন তিনি।
ওই রাতেই প্রদেশটির অন্যান্য এলাকায় ১৫ তালেবান সদস্য নিহত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। অস্ত্রবিরতির সময় তালেবান জঙ্গিরা লক্ষ্যস্থলের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি হামলার প্রস্তুতি নেয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান।
বাদজিস পুলিশের মুখপাত্র নাকিবুল্লাহ আমিনিও তালেবান হামলায় ৩০ সৈন্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি একই জেলার কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে তালেবানের পৃথক হামলায় আরও চার সৈন্য নিহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আফগানিস্তান সরকার তালেবানের সঙ্গে একতরফা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর ঈদের তিন দিন অস্ত্রবিরতি করতে সহমত হয় তালেবান।
গত শুক্রবার আফগানিস্তানের ঈদ পালিত হয়। ওই দিন পুরো আফগানিস্তানজুড়ে তালেবান যোদ্ধারা নিকটবর্তী শহরগুলোতে হাজির হয়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মিলিতভাবে ঈদ উৎসব পালন করেছিল।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তার একতরফা অস্ত্রবিরতির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়েছেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি অস্ত্রবিরতি বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল।
আফগানিস্তানের অনেকেই এই একতরফা অস্ত্রবিরতির সমালোচনা করেছেন, কারণ এর ফলে তালেবান জঙ্গিরা রাজধানী কাবুলসহ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে অবাধে বিচরণ করার সুযোগ পেয়েছে।