দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে ৪৫ দিনের জরুরি অবস্থা বৃহস্পতিবার তুলে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।
Published : 22 Mar 2018, 07:47 PM
আদালত-সরকার দ্বন্দ্বে উত্তেজনার মধ্যে মালদ্বীপে গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইয়ামিন। পরে এর মেয়াদ আরো ৩০ দিন বাড়ানো হয়।
জরুরি অবস্থার ফলে দেশটিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নিষিদ্ধ ছিল। এ সময়ের মধ্যে ইয়ামিন প্রশাসন ধরপাকড়ও চালিয়েছে। বিচারপতিসহ দুই বিচারক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম দুর্নীতি এবং সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে আটক হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ে। মালদ্বীপের জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণে মালদ্বীপের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ইইউ’র মুখপাত্র।
কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন মালদ্বীপের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং সাংবিধানিক সংকটের সমাধান না হওয়ার যুক্তিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছিলেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার তা প্রত্যাহার করে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “জাতীয় নিরাপত্তায় এখনো কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। তবে জাতি এখন অনাহূত আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই চলার অবস্থায় রয়েছে বিধায় এবং দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”