হোম
+
জার্মানির নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর হতে চলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বুথ ফেরত জরিপের প্রাথমিক ফলে সে আভাসই পাওয়া যাচ্ছে।
Published : 24 Sep 2017, 11:28 PM
তবে জোট গড়তে মের্কেলকে একাধিক দলের সমর্থন আদায় করতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষের পর বুথ ফেরত জরিপের প্রাথমিক ফল প্রকাশিত হয়েছে৷ সে তালিকায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ফল করেছে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের ইউনিয়ন শিবির৷
এআরডি জরিপ বলছে, মের্কেলের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জার্মানির সংসদে বৃহত্তম দল হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে।
ওদিকে, মের্কেলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এবং জোট সরকারে তারই শরিক দল মধ্য-বাম স্যোশাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি) মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
নির্বাচনি ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে এসপিডি৷ তবে আসনের বিচারে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে এসপিডি প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পেতে পারে৷
ওদিকে, কট্টর-ডান এএফডি দল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় শক্তিশালী দল হিসাবে আবির্ভুত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুথ ফেরত জরিপে আরও দেখা গেছে, মের্কেল-শিবিরের সবচেয়ে সম্ভাব্য সহযোগী উদারপন্থি এফডিপি পাচ্ছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট, সবুজ দল পাচ্ছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট এবং বাম দল পাচ্ছে ৯ শতাংশ ভোট।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে এবারেও মের্কেলকে জোট গড়তে হতে পারে এবং নতুন শরিক দলও খুঁজতে হতে পারে।
এফডিপি দল যথেষ্ট আসন না পাওয়ায় সবুজ দলকেও জোটে শামিল করার চেষ্টা করা চলতে পারে। সে ক্ষেত্রে ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকার গঠিত হতে পারে৷ আর এ প্রক্রিয়ায় কয়েকমাস লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০০৫ সাল থেকে জার্মানি শাসন করা মের্কেলকে আন্তর্জাতিকভাবেও স্থায়ীত্বের প্রতীক মনে করা হয়।
ইউরোপজুড়ে অভিবাসী সংকটের সময় জার্মানির দরজা খুলে দেওয়ায় মের্কেল অভ্যন্তরীণভাবে সমালোচনার মুখে পড়লেও পরে সেটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন বলে স্থানীয় অন্যান্য নির্বাচনের ফলে মনে হচ্ছে।
এই দুই দলের বাইরে আছে ইসলামবিরোধী হিসেবে খ্যাত ডানপন্থি-জাতীয়তাবাদী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। দলটি এবারই সংসদে প্রথম আসন পেতে চলেছে।
অভিবাসী ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের বিরোধিতা করে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া দলটি বিভিন্ন আঞ্চলিক সরকারে আসন পেয়েছে; জনপ্রিয়তার কারণে এবার বুন্ডেস্টাগেও তারা ভালো করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
