শরীয়তপুর সদর উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
Published : 29 Jun 2017, 03:36 PM
পালং মডেল থানার এসআই মো. সজীব জানান, রুদ্রকর ইউনিয়নের পূর্ব চরোসুন্দি গ্রাম থেকে রেশমা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
রেশমা ওই গ্রামের ফরিদ সরদারের স্ত্রী।
ওই এলাকার আব্দুর রব সরদার ও চানভানু বেগমের ছেলে ফরিদ ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোবজনের সঙ্গে পলাতক রয়েছেন বলে এসআই জানিয়েছেন।
রেশমার ভাই আলী আজগর ঘরামী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আট বছর আগে তার বোন রেশমার সঙ্গে ফরিদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তারিকুল (৫) ও ফারিয়া (২ মাস) নামে দুই সন্তান রয়েছে।
“বিয়ের পর থেকেই ফরিদ যৌতকের দাবিতে রেশমাকে মারধর করতেন। এর আগে ফরিদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা ও রেমশাকে তিন ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়।”
সম্প্রতি ফরিদ আরও টাকা এনে দেওয়ার দাবি করেন। এতে তার বোন রাজি না হওয়ায় ফরিদ তাকে আবার মারধর করতো বলে অভিযোগ করেন আজগর।
আজগর বলেন, এর জেরে বুধবার রাতে ফরিদ ও রেশমার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেশমাকে মারতে মারতে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাঁশ ঝাড়ের নিয়ে যায় ফরিদ। সেখানে সকলের সামনে আবার মারধর করে।
“এক পর্যায়ে রেশমার মৃত্যু হলে ফরিদ ও মা-বাবা লাশ বাড়ির পাশের একটি কাঁঠাল গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে রেশমার সন্তানদের নিয়ে তারা পালিয়ে যান।”
বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির অন্যান্য লোকজন রেশমার লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে তাদের খবরে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
রেশমার বাবা জুলহাস ঘরামী বলেন, “যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যার পর গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। আমি আমার এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
এসআই সজীব বলেন, রেশমাকে হত্যার পর গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।