নিজেদের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে ইউরোপ ভ্রমণে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কার্ট কোচরানকে লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে, গুরুতর আহত তার স্ত্রী মেলিসা।
Published : 24 Mar 2017, 11:36 AM
লন্ডনের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে বুধবারের হামলায় নিহত কোচরান ও আহত মেলিসার পরদিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বলেও জানিয়েছে তাদের পরিবার।
পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “মেলিসা ও তার সন্তানদের কথা ভেবে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে।”
মেলিসার আঘাতও গুরুতর। তার পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে গেছে এবং মাথায় গভীর ক্ষত হয়েছে। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যাবেন বলে আশা করছে তার পরিবার।
এদিকে এক টুইটে এ ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “একজন মহান আমেরিকান, কার্ট কোচরান লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।”
“আমি তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করছি।”
মেলিসার চিকিৎসায় অর্থ সংগ্রহের জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গোফান্ডমি’ (GoFundMe) নামে একটি পাতা খোলা হয়েছে।
উটাহ অঙ্গরাজ্যের সল্ট লেক সিটি থেকে ১০ মাইল দূরে বাউন্টিফুল শহরের বাসিন্দা কোচরান দম্পতি গত ১০ বছর ধরে নিজেদের একটি রেকর্ডিং স্টুডিও পরিচালনা করতেন।
মেলিসার পিতামাতা সঙ্গে দেখা করতে তারা লন্ডনে এসেছিলেন।
সল্ট লেক সিটির একটি গির্জার পক্ষে ধর্মপ্রচারের কাছে মেলিসার পিতামাতা লন্ডনে অবস্থান করছেন।
লন্ডন হামলা
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে বুধবার এক হামলাকারী পথচারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং ছুরিহাতে নিরাপত্তাকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় গাড়ি চাপা পড়ে আয়শা ফ্রেড নামে এক নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক কার্ট কোচরান (৫৪) মারা যান। ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম কিথ পামার।
হামলায় আহত ৭৫ বছরের আরেক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হামলাকারী খালিদ মাসুদকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।