হোম
+
প্যারিসের দক্ষিণের এক শহর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বস্তুকে জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক বেল্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
Published : 24 Nov 2015, 02:08 PM
তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সূত্র জানিয়েছে, প্যারিস হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত সন্দেহভাজন সালাহ আব্দেস্লাম হামলার রাতে যেখান থেকে ফোনে কথা বলেছিলেন সোমবার সেই জায়গাটির কাছেই সন্দেহজনক বস্তুটি পাওয়া যায়।
প্যারিস হামলা চলাকালে আব্দেস্লামের ভাই ব্রাহিম আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হামলার পর থেকে আব্দেস্লাম পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
১৩ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানীতে চালানো ওই হামলায় ১২৯ জন নিহত হন। এই হামলার পর থেকে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে ফ্রান্সজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
ফরাসি তদন্তকারীরা প্রথমে ধারণা করেছিলেন, প্যারিসের ১০তম ও ১১তম ডিস্ট্রিক্ট এলাকার রেস্তরাঁ ও ক্যাফেতে গুলিবর্ষণে ব্যবহৃত কালো সিয়াট লিওন গাড়িটিতে আব্দেস্লাম ছিলেন।
কিন্তু প্যারিসের ১৮তম ডিস্ট্রিক্টে হামলার পর কাছেই পরিত্যক্ত একটি রেনাল্ট ক্লিও গাড়ির কাছে আব্দেস্লামের মোবাইলই ফোনটি পাওয়া যায়।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত ওই সূত্র বলেন, সিয়াট গাড়িটিতে নয়, আব্দেস্লাম এই ক্লিও গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এ ধারণা এখন ‘জোরালো’ হচ্ছে।
১৩ নভেম্বর হামলার পর প্যারিসের দক্ষিণাংশের শাতিউ এলাকার একটি মোবাইল ফোনের খুঁটির পাশে আব্দেস্লামের মোবাইল ফোনটি পড়ে ছিল। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের তথ্য থেকে আব্দেস্লাম এখানে ছিলেন বলে তদন্তকারীদের কাছে প্রমাণ আছে।
প্যারিসের কাছে একটি শহরে সন্দেহজনক বিস্ফোরক বেল্ট পাওয়ার পর ফরাসি পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ছবি: রয়টার্স
এখানে পাওয়া বস্তুটি দেখতে ১৩ নভেম্বর হামলায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বেল্টগুলোর মতোই বলে জানিয়েছে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ধারণা করা হচ্ছে, আব্দেস্লাম বেল্টটির বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কারণে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করতে পারেননি বা করেননি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পেরে বেল্টটি ডাস্টবিনে ফেলে যান তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “হতে পারে তার বিস্ফোরক বেল্টটিতে হয়তো কোনো কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”
উদ্ধারকৃত বস্তুটি আব্দেস্লামের সংস্পর্শে ছিল কিনা, এত তাড়াতাড়ি তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আব্দেস্লামকে ধরতে ফ্রান্সের পাশাপাশি প্রতিবেশী বেলজিয়ামেও ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে।
