স্বচালিত গাড়ির দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে মীমাংসায় পৌঁছেছে উবার।
Published : 29 Mar 2018, 02:47 PM
মীমাংসার কারণে ভোক্তার পরিবারের সঙ্গে সম্ভাব্য আইনী লড়াই শেষ করেছে অ্যাপভিত্তিক গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি। ১৮ মার্চ অ্যারিজোনার টেম্পে শহরে উবারের স্বচালিত গাড়ির দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ বছর বয়সী এলেইন হার্জবার্গ-এর মেয়ে এবং স্বামীর সঙ্গে মীমাংসা করেছেন প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী ক্রিস্টিনা পেরেজ হেজানো-- খবর রয়টার্স-এর।
অ্যারিজোনার গ্লেনডেল-এর আইনী প্রতিষ্ঠান বেলা পেরেজ-এর আইনজীবী হেজানো বলেন, “হার্জবার্গ-এর মেয়ে এবং স্বামীর সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।”
মীমাংসার শর্ত প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষ। হার্জবার্গ-এর মেয়ে এবং স্বামীর পক্ষ থেকে আইনী প্রতিষ্ঠানটি জানায় তারা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবেন না, কার তারা মনে করেন বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নামও প্রকাশ করা হয়নি।
উবারের এই দুর্ঘটনা স্বচালিত গাড়ির উন্নয়ন এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। মানব চালকের তুলনায় নির্ভুলভাবে গাড়ি চালানোর লক্ষ্যেই এই গাড়িগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রতি বছর মোটরযান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রয়াস করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ ঘটনার পর স্বচালিত গাড়ির পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে উবার। তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা থেকে স্বচালিত গাড়ি তুলে নিয়েছে টয়োটা মোটর কর্পোরেশন এবং চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া।
স্বচালিত গাড়ির দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের ঘটনা এটিই প্রথম।
দুর্ঘটনার সময় চার লেইনের একটি সড়কে পথচারী পারাপারের রাস্তার বাইরে বাইসাইকেল নিয়ে হেঁটে পার হচ্ছিলেন হার্জবার্গ। পরবর্তীতে এটির ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ।
গাড়িটির ধারণ করা ওই ভিডিওতে গাড়ির সামনে ওই পথচারীর চলে আসা আর গাড়ির ভেতরে চালকের আসনে থাকা ব্যক্তির ওই সময়ের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তবে, ওই দুর্ঘটনার আগে ভিডিওটি নিজেই বন্ধ হয়ে যায়।
ভিডিওতে গাড়ির ভেতরের দৃশ্যে দেখা যায়, ওই সময় চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন না। দুর্ঘটনার আগে তিনি নিচের দিকে ও রাস্তা থেকে দূরে তাকিয়ে ছিলেন।