রক্ষণভাগের নিয়মিত সেনানি তপু বর্মন, কাজী তারিক রায়হান ছিলেন না চোটের কারণে। তবে টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াসিন আরাফাত, বিশ্বনাথ ঘোষরা বাহরাইনের আক্রমণ সামলাছেন বেশ। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাছে হারের হতাশা থাকলেও বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তাই রক্ষণের প্রশংসা করলে সবচেয়ে বেশি।
Published : 08 Jun 2022, 07:58 PM
মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। রক্ষণের দৃঢ়তা ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর দারুণ সব সেভের কারণে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন।
রক্ষণাত্মক কৌশল নেওয়া বাংলাদেশ প্রথম গোল হজম করে ৩৪তম মিনিটে, সেট-পিস থেকে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাহরাইন। ২০০৪ সালের এশিয়ান কাপে চতুর্থ হওয়া দলটি দ্বিতীয়ার্ধে কোনো গোল পায়নি। কাবরেরার দাবি, দ্বিতীয়ার্ধে সমানে সমান লড়েছে তার দল।
“যদিও আমরা হেরেছি, কিন্তু সব মিলিয়ে আমাদের পারফরম্যান্স ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা ছিল ইতিবাচক ফল । আমরা ভালো কিছু চেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ। এটা ‘ওপেন ম্যাচ’ ছিল। তারা সুযোগ পেয়েছে, কিছু কাজেও লাগিয়েছে কিন্তু আমরা পারিনি। রক্ষণে ভালো ব্লক করেছি, কিন্তু নিজেদের মত খেলতে পারিনি।”
“প্রথমার্ধে বল দখলে তারা শতভাগ ভালো ছিল,অনেক আক্রমণ করেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ওদের পর্যায়েই খেলেছি। বল দখলেও ভালো ছিলাম। আমরা এ ম্যাচের ভিডিও দেখবো, কেন গোল খেলাম, সামনের ম্যাচে এসব নিয়ে কাজ করব।”
আগামী শনিবার ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচের আগেই নানা দিকের উন্নতি নিয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করছেন কাবরেরা।
“অবশ্যই আরও অনেক দিকের উন্নতি নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের, সেটা শুধু ডিফেন্সিভ ব্লক বা ট্রানজিশনের সময় নয়, অ্যাটাকিং থেকে আরও অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ম্যাচে অনেক ক্ষেত্রে আমরা জায়গা হারিয়েছি এবং এতে করে ম্যাচটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হয়েছে।”
২০১৯ সাল থেকে বাহরাইনের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন হেলিয়ো সৌসা। অন্যদিকে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন কাবরেরা। প্রতিপক্ষ দলের মূল্যায়ন করতে গিয়ে নিজের দলকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত না পাওয়ার কথাও যেন মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ কোচ।
“বাহরাইন খুবই শক্তিশালী দল, টেকনিক্যালি তারা ভালো। তিন বছর ধরে তারা এক কোচের অধীনে খেলছে। ফলে কোচের কৌশল সম্পর্কে তারা খুব ভালোভাবে অবগত হতে পেরেছে।”