ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের মতে, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তার প্রজন্মের সেরা ফুটবলার।
Published : 14 Jul 2016, 03:59 PM
আজকের ‘বিশ্বসেরা’ রোনালদোর তারকা হয়ে ওঠার পেছনে ফার্গুসনের অবদান অনস্বীকার্য। ২০০৩ সালে পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্তিং থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণ রোনালদোকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিয়ে আসেন কিংবদন্তি এই কোচ।
এরপর থেকে রোনালদোর শুধুই সামনে এগিয়ে চলা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটির হয়ে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও তিনটি প্রিমিয়ার লিগসহ মোট নয়টি শিরোপা জেতেন। আর বর্তমান ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও একটি লা লিগাসহ মোট আটটি শিরোপা জিতেছেন। তিনবার জিতেছেন বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব।
ক্লাব ফুটবলে এত এত সাফল্যের ভিড়ে লম্বা সময় ধরে হতাশা ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলের সাফল্য না পাওয়া, সেটাও এবার ঘুচে গেছে। সম্প্রতি জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ইউরো ২০১৬ শিরোপা।
গত রোববার ফ্রান্সের সাঁ-দেনিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে পর্তুগালের শিরোপা উদযাপন মাঠে বসে দেখেছেন ফার্গুসন। শেষ পর্যন্ত দেশের হয়ে রোনালদোর এই অসাধারণ অর্জনের সাক্ষী হতে পেরে ভীষন খুশি ফার্গুসন।
সাবেক শিষ্যের প্রশংসা করতে গিয়ে ফার্গুসন ফিরে তাকালেন ২০০৩ সালে, রোনালদোকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ে আসার সময়টায়। ৭৪ বছর বয়সী ফার্গুসন জানান, ওই সময়ের তরুণ রোনালদোকে চুক্তিভুক্ত করানোর অন্যতম কারণ ছিল তার কাজের হার ও সাফল্য ক্ষুধা। আর এটাই তার সময়ের খেলোয়াড়দের থেকে তাকে আলাদা করে।
“ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আমার সময়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্রিস্তিয়ানোই সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। কঠিন পরিশ্রম করেই তা সম্ভব হয়েছে।”
“সে ধারাবাহিকভাবে তার ডান পা, বাঁ পা দিয়ে শুটিং কৌশল ও হেডে সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে গেছে।”
“শীর্ষ মানের খেলোয়াড়েরা সেরা পর্যায়ে পাঁচ থেকে ছয় বছর খেলতে পারে, তারপরই শেষ হয়ে যায়। ক্রিস্তিয়ানো এটা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে করে আসছে। এটাই তাকে অসাধারণ করেছে। প্রত্যেক প্রজন্মেই সেরা ফুটবলার থাকে, ক্রিস্তিয়ানো বর্তমানের সেরা।”