সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে বাংলাদেশ কঠিন গ্রুপে পড়েছে। তাতে অবশ্য হাল ছাড়ছেন না কোচ মারুফুল হক। তার বিশ্বাস, মানসিক পার্থক্যটা ঘোচাতে পারলে প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার সামর্থ্য আছে তার দলের।
Published : 28 Nov 2015, 05:04 PM
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সাফের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন নতুন কোচ মারুফুল।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের শিরোপাধারী আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভুটান। আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের ছয়টি করে ম্যাচ দেখে তাদের সঙ্গে নিজ দলের ব্যবধানটা তুলে ধরেন মারুফুল।
“যখন বাফুফের সঙ্গে আমার কথা হয়, তখনই আমি হোমওয়ার্ক শুরু করি। এরই মধ্যে মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের ছয়টি ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। সেখানে আমি দেখেছি, তাদের সঙ্গে আমাদের খুব পার্থক্য নেই। একটা জায়গায় পার্থক্য আছে, সেটা মানসিক।”
আগামী রোববার থেকে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে প্রস্তুতি শুরু করবে মামুনুলরা। অনুশীলনের শুরু থেকে মানসিক বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন মারুফুল।
“শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি যদি এই দিকটা (মানসিক) নিয়ে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারি, ছেলেদের অনুপ্রাণিত করতে পারি, নিজেদের ঘাটতিগুলো শুধরে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে বাধাগুলো উতরে যাওয়া সম্ভব।”
সময়ের স্বল্পতার বিষয়টি মাথায় রেখে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মারুফুল। জাতীয় দলের কোচ হওয়াটা ‘পবিত্র দায়িত্ব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন “আমার ওপর আস্থা রাখায় ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দলের জন্য চেষ্টা করব।”
“অবশ্যই শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল থেকে দল নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করব”, যোগ করেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জেতা এই কোচ।
আগের কোচ ফাবিও লোপেজ মামুনুলদের পজিশন বদলের পরীক্ষায় নেমেছিলেন। মারুফুল সে পথে হাঁটছেন না। বরং প্রত্যেকে যে পজিশনে খেলে অভ্যস্ত, তাকে সেখানে খেলানোর ছক তার। পাশাপাশি মামুনুল-জুয়েলদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার প্রতিও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন দিনি।
“খেলোয়াড়দের মানসিকতায় যে সমস্যা আছে, প্রথম দিনের প্রস্তুতি থেকে সেটা নিয়ে কাজ শুরু করব। শারীরিক দক্ষতার সঙ্গে যদি মানসিক দক্ষতা নিয়ে ভালোভাবে কাজ করা যায়, বাধাগুলো অতিক্রম করা যায়।”