খালেদার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সমাবেশ

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের এক সমাবেশ থেকে।

সোমবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে একটি রেস্টুরেন্টে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ পরিচালনা করেন সেক্রেটারি কাওসার আহমেদ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, জাসাসের সেক্রেটারি ও চিত্রনায়ক হেলাল খান।

সমাবেশে হেলাল খান বলেন, “গণতান্ত্রিক বিশ্বকে অবাক করে সাজানো মামলায় অনুগত আদালতের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করছেন শেখ হাসিনা সরকারের অন্যায়-অবিচার। সুযোগ পেলেই তারা এর সমুচিত জবাব দেবেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে। আর সেই আন্দোলন শুরু হবে ঈদের পর।”

হেলাল খান প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল বলেন, “তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আজ  কারাগারে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কী থাকতে পারে! আমরা জিয়ার সৈনিকেরা ঘরে বসে থাকতে পারি না ম্যাডামকে জেলে রেখে।”

বিশেষ অতিথি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নেই সাড়ে পাঁচ বছর হলো। এজন্যে কেউই সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় জোর পাচ্ছি না। আর কর্মীরাই বা কার কথা শুনবে। এখন প্রয়োজন কেন্দ্র অনুমোদিত একটি কমিটি।”

বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ বলেন, “গত কয়েকদিনে মার্কিন রাজনীতিকদের সাথে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। তারাও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতাকর্মীদের সোচ্চার হবার বিকল্প নেই।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন সোলায়মান ভূইয়া, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বাবরউদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, বিএনপি নেতা মাহফুজুল মাওলা নান্নু, সোহরাব হোসেন, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, আনোয়ার হোসেন, খলকুর রহমান ও ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!