দেশে বিনিয়োগ ও তুলনামূলক বেশি লাভের সুযোগ থাকলে বিদেশে মুদ্রাপাচার হবে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Published : 16 Jun 2021, 06:42 PM
যারা মুদ্রাপাচার করছে তাদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে উদ্যোগের বিষয়ে বলেন, “মুদ্রাপাচার নিয়ে আপনাদের যেমন মনে কষ্ট আমারও ঠিক একই কষ্ট, মুদ্রাপাচার নিয়ে প্রথমে কিছু কাজ করা প্রয়োজন। আমরা যদি সিস্টেম দিয়ে জানতে পারি কারা কারা এগুলো করছে, সিস্টেম দিয়ে সেগুলো আইডেন্টিফাই করা হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে। এজন্য আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি।
“দ্বিতীয়ত হচ্ছে কী কী কারণে মুদ্রাপাচার হচ্ছে- একটি হচ্ছে আমাদের এখানে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আরও লোভ বেশি করে টাকা বিদেশে নিয়ে যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এখানে যদি ইনভেস্টমেন্টের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারি, তুলনামূলকভাবে যদি বেশি লাভ করার সুযোগ থাকে, তাহলে কেউ বিদেশে টাকা নেবে না।”
মুদ্রাপাচারকারীদের সমালোচনা করে মুস্তফা কামাল বলেন, “এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট হচ্ছে এরা অন্যায় করবে, অপরাধ করবে, তারা টাকা পাচার করার চেষ্টা করবে বিদেশে ব্যয় করার জন্য। আমরা চেষ্টা করব ওদেরকেও ট্র্যাক করে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
“এরই মধ্যে দেখেছি কিভাবে টাকা পাচার হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা এটি জানি। যারা টাকা পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, সেগুলো অনেক পেন্ডিং আছে। যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় তাহলে অনেককে অন্যায় থেকে বিরত রাখা যাবে। অনেকেই জেলে আছে, অপরাধ একটাই টাকা পাচার করেছে। তাদের লেনদেনে ব্যত্যয় ছিল বলেই তারা জেলে।”
মুদ্রাপাচার নিয়ে বিভিন্ন আইন সংসদে পাশ করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যেগুলো সংসদে আনা হবে তার মধ্যে কিছু নতুন আইন এবং কিছু সংশোধন। ১৪ তারিখে দুইটি বিল আমি অলরেডি সংসদে নিয়ে গেছি। আমাদের লেনদেনগুলো ম্যানুয়াল না, এখন লেনদেন ডিজিটাল। এই লেনদেনগুলো আগে ম্যানুয়াল ছিলে, সেগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেওয়ার জন্য একটি আইন, আরেকটি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের আইন নিয়ে এসেছি।”
শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটি আলোচনা হচ্ছে, আমরা যদি কাউকে ঋণ দেই সারা বাংলাদেশের মানুষ সেটা জানতে পারবে। আমরা যেমন নিতে পারি তেমনি দিতেও পারি। আমি বলেছিলাম আমরা যেহেতু ঋণ নিয়েছি, আমরা ঋণ দেব। আমাদের সক্ষমতা যা আছে, তার মধ্যে থেকে আমরা যদি ঋণ দিতে পারি তবে দেব।”