বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ফিলিপিন্স থেকে রিজার্ভের সব অর্থ ফেরত এলে সেটি প্রকাশ করা হবে।
Published : 16 Jan 2017, 08:49 PM
সোমবার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মুহিত।
এর আগে বেশ কয়েকবার এই প্রতিবেদন প্রকাশের বিভিন্ন সময়সীমার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী। এর মাঝে ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষও প্রতিবেদনটি চেয়ে পাঠায়। তবে সরকার সেই প্রতিবেদন দিতে অস্বীকার করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভের অর্থ ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকে যাওয়ার পর ইতোমধ্যে দেড় কোটি ডলার ফেরত এসেছে, বাকি অর্থ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা এই সাইবার চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে ছয় মাসের বেশি সময় আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও এ পর্যন্ত কয়েকদফা ঘোষণা দিয়ে তা প্রকাশ করেননি অর্থমন্ত্রী।
এর মধ্যে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার গাফিলতি রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে তদন্তকারী বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হলে প্রতিবেদনটি চেয়ে পাঠায় ফিলিপিন্স সরকার।
“তাদের এটিচ্যুড গ্রহণযোগ্য না। এটা সমাধান করি, তারপর প্রকাশ করব।”
রিজার্ভ চুরির অর্থ রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে ফিলিপিন্সে যাওয়ার পর সেই অর্থ ছাড় না করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হলেও তারা শোনেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের ব্যাংকিং নীতিমালা না মানায় ইতোমধ্যে রিজল ব্যাংককে ২০ কোটি ডলার জরিমানা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ছাড় করা অর্থের মধ্যে ক্যাসিনো হয়ে জুয়ার টেবিলে যাওয়া অর্থের একাংশ বাংলাদেশ ফেরত পেলেও বাকি অর্থ ফেরতে রিজল ব্যাংক দায় এড়াতে পারে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পর সেই দায় নিতে অস্বীকার করছে ব্যাংকটি।