দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নিম্নমুখী ধারায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে, সেই সঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার।
Published : 02 Mar 2022, 03:17 PM
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পৌনে ২৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২২ শতাংশে। আগের দিন সোমবার এই হার ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫৩ জনের।
সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৮২৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ১০৬ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪৯২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশের বেশি।
যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে,তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
তাদের মধ্যে চারজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, তিনজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৯ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৮৭ লাখের বেশি।