মাসের মধ্যভাগে এসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বেচা-বিক্রিতে সন্তোষ জানালেন বিক্রেতারা।
Published : 17 Jan 2020, 10:48 PM
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছিল, বিকেলের দিকে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে শেরেবাংলা নগরের বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ।
বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায় বিক্রেতাদের দম ফেলার জো নেই, ক্রেতারাও দর কষাকষিতে ব্যস্ত।
ভিআইপি গেইট দিয়ে মেলায় ঢুকতেই ৫০ নম্বর প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়নে চোখে পড়ে কারুপণ্য শতরঞ্জির স্টল। রংপুরে তৈরি ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জিসহ হরেক রকমের হস্তশিল্প সামগ্রী রয়েছে এখানে।
সেখানকার কর্মী রোমেল রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিশ্বের প্রায় ছয় মহাদেশেই এই শতরঞ্জি রপ্তানি করি। কামার, কুমার, তাঁতীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের সংগ্রহ রয়েছে এখানে। এটাকে মেলার মধ্যে আরেকটা মেলাও বলা যায়।”
বাবা-মায়ের সঙ্গে এদিন মেলায় ঘুরতে আসেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওয়াহিদা জিয়া নীরা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছুটির দিনে পুরো পরিবারকে সাথে নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসতে পারি। প্রাণের স্টল থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করলাম, মার্ক্সের স্টল থেকে কেনাকাটা করলাম আর শতরঞ্জি থেকে বড় কার্পেট আর ছোট পাপস কিনলাম।”
মিরপুর থেকে বোনদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসা আইনের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার ছুটির দিন বলেই আজকে আমরা দুপুর থেকে মেলায় ঘুরছি। মোটামুটি অনেক কেনাকাটা চলছে।”
সেখানকার এক দোকানের বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম রাজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পাট ব্যবহার করে হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছি। নাগরিক জীবনে একটু সবুজের ছোঁয়া দেওয়ার জন্য আমরা পাট ও বেতের তৈরি টবে গাছ বিক্রি করছি।”
সেখানকার বিক্রয়কর্মী মুক্তা জানান, তাদের প্রধান শোরুম ধানমণ্ডির রাপা প্লাজায়।
“প্রধানমন্ত্রী আমাদের এখানে সুযোগ করে দিয়েছেন, যাতে করে মহিলারা তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। বিভিন্ন জেলা থেকে নারীরা এসে এখানে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে।”
কারা অধিদপ্তরের উদ্যোগে কারাবন্দিদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের সমাহারে মেলায় সাজানো হয়েছে কারাপণ্যের প্যাভিলিয়ন।
শুক্রবারে তাদের ক্রেতার সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “এখানে প্রস্তুতকারকদের শ্রমের মূল্যটুকু বাদ দিয়ে শুধু কাঁচামালের মূল্য ধরে পণ্যের দাম নির্ধারিত হয়। এরপর যা লাভ হয়, তার অর্ধেকটা সরকারি কোষাগারে এবং বাকি অর্ধেক বন্দিদের পুনর্বাসনে কাজে লাগানো হয়।”