যাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনায় ‘চরম অব্যবস্থাপনার’ অভিযোগে এয়ারএরাবিয়াকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Published : 19 Jul 2016, 11:38 PM
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, মঙ্গলবার বিকালে চারজন যাত্রীর অভিযোগ আমলে নিয়ে এয়ারএরাবিয়াকে এই জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এয়ারএরাবিয়ায় করে ১৫ জুলাই জর্ডান থেকে রোজিনা বেগম, মিশর থেকে মো. ইনতাজুল ও মো. ইকরাম ও ১০ জুলাই দুবাই থেকে আবু সাঈদ বাংলাদেশে আসেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর তারা তাদের লাগেজ বুঝে পাননি। এয়ারএরাবিয়া কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের পরে লাগেজ বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
সোমবার সকালে তাদের এয়ারএরাবিয়া থেকে মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এসে লাগেজ বুঝে নিতে হবে।
“তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে দেখেন এয়ারএরাবিয়ার অনেক যাত্রীরই ফেলে আসা লাগেজ এসেছে। কিন্তু এয়ারএরাবিয়া কোন কোন যাত্রীর লাগেজ এসেছে তা নির্ধারণ না করে সবাইকেই একইসঙ্গে ফোন করে আসতে বলেছেন।” বলেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
অভিযোগকারী ওই চার যাত্রী বিমানবন্দর এসে দেখেন তাদের লাগেজ আসেনি। পরে তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে এয়ারএরাবিয়া কর্তৃপক্ষের লাগেজ অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় প্রত্যেক যাত্রীদের অভিযোগের বিপরীতে তাদের চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ।
একই আইনে যাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রমাণিত হওয়ার পর প্রত্যেককে চার লাখ টাকা হতে ২৫ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহাম্মদ আলী।