ইসিকে সব ধরনের সহায়তা: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের দায়িত্ব আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা।

“অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে, যেন জনগণ যাকে খুশি তাকে জয়ী করতে পারেন।”

এ সময় বিএনপি জোটের আন্দোলনের সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “এদিকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আপনারা গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে এসেছেন, আবার আন্দোলনও করছেন। এটা যদি হয় তাহলে নির্বাচনের আসার দরকার কী?”

এ ধরনের অবস্থাকে বিএনপি জোটের ‘দ্বিচারিতা’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের পরাজয়ের কথা তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামায় না।

গতবারের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “গতবার নির্বাচনে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বলা হয়েছিল সব কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। আবার তারাই জিতেছে।”

শিগগির চট্টগ্রামে সিএনজির ভাড়া নির্ধারণ

সভায় চট্টগ্রাম নগরীতে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে এর কারণ জানতে চান।

এ সময় তিনি সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভাড়া নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম শহরে ‘ফ্রি স্টাইলে’ যানবাহন চলছে। কেউ কাউকে মানছে না। দেখে মনে হয় যেন কোনো অভিবাবক নেই।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে ‘কমার্শিয়াল হাব’। অনেক বিদেশি এখানে আসে। যানজটের বিষয়টি তারা দেখলে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। এতে করে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এছাড়া সভায় মন্ত্রী বিভিন্ন পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে তাদের অভিযোগ শোনেন এবং তা সমাধানে আশ্বস্ত করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, সাংসদ শামসুল হক, এমএ লতিফ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ, ট্রাফিক ও প্রশাসন) একেএম শহীদুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তারসহ বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক-মালিক সংগেঠনের নেতারা।

এর আগে সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে কাজ শুরু হওয়ার কথা জানান সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।