রাতের বিরতি ও ভোর থেকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েক ঘণ্টা থমকে থাকার পর মৌলভীবাজারের দুটি জঙ্গি আস্তানা ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান আবার শুরু হয়েছে।
Published : 30 Mar 2017, 10:21 AM
সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুরে বাগানঘেরা একতলা বাড়িটির উঠানে অবস্থান নিয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। সোয়াট সদস্যরা সেখানে রেকি করেছেন বলেও শোনা গেছে।
পৌর শহরের বড়হাট এলাকায় অন্য জঙ্গি আস্তানার দিক থেকেও সকালে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে অভিযানের অগ্রগতির তাৎক্ষণিকভাবে বিশদ তথ্য দেননি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, “ঝড় বৃষ্টি শেষে অপারেশন শুরু হয়েছে। অপারেশন শেষে যদি বলার মত কিছু থাকে তাহলে নাসিরপুরেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। না হলে দুটি বাড়িতে অভিযান শেষে একবারে জানানো হবে।”
বিকালে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট পৌঁছানোর পর নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় শুরু হয় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৃষ্টির মধ্যেই অভিযান শুরুর পর বাগানঘেরা ওই বাংলো ধাঁচের বাড়ির দিক থেকে টানা গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সাড়ে ৭টার পর পরিস্থিতি চুপচাপ হয়ে আসে।
রাত ১১টার দিকে র্যাবের শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি মো. মাইনুদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আলোর স্বল্পতার কারণে অভিযানে বিরতি দেওয়া হয়েছে, ভোরে আবার শুরু হবে।
কিন্তু ভোররাতে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে অভিযান আরও বিলম্বিত হয়। সোয়াট সদস্যরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাসিরপুরে এলেও তাদের বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকতে হয়।
প্রায় ১৮ কিলোমিটার ব্যবধানে ওই দুই বাড়িরই মালিক লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তি। দুই বাড়িতে নারী ও শিশুসহ জনা দশেক লোক রয়েছে বলে ধারণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ওই দুই এলাকায় আগের দিনই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এদিকে বুধবার দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে আরও একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে কাউন্টার পুলিশের টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা।
তবে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোটের পর সেখানে অভিযান হবে।