নারায়ণগঞ্জে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বস ও লাঞ্ছিতের ঘটনার ‘সঠিক তথ্য ও প্রমাণাদি উপস্থাপনে’ স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের ডাকা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
Published : 23 May 2016, 08:04 PM
সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় পার্টির ‘কেন্দ্রীয় কমিটির অনুরোধক্রমে’ সংবাদ সম্মেলনটি ‘আপাতত’ স্থগিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের নতুন সময় ও স্থান পরে জানানো হবেও বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিকেএমইএ সহ-সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক জানান, জাতীয় পার্টির উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ডাকা সাংসদ সেলিম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
বিষয়টি ইমেইলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও সেসময় জানিয়েছিলেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছেন জাতীয় পার্টির এই সাংসদ।
রোববার সাংসদ সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংবাদ সম্মেলনের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে নিয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
“তাই উক্ত ঘটনাটির প্রকৃত প্রেক্ষাপট কী ছিল, কী ঘটেছিল, আমি কী করেছিলাম এবং ঘটনার পরবর্তী প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সবার সামনে সঠিক তথ্য ও প্রমাণাদি উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিমত তুলে ধরার জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।”
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সেদিন বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে একদল লোক মারধর করে। পরে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করান ওই আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
সমালোচনার মুখে থাকা সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য।
নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকা সেলিম ভাইয়ের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টিতে নাম লিখিয়ে তার আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন।