কাহারোলে ইসকন মন্দিরে হামলার মামলার দুই আসামির পর গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে আটক পাঁচজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 13 Dec 2015, 07:35 PM
রোববার গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ওয়াহেদুজ্জামান প্রত্যেককে দুদিন করে হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দেন।
এরা হলেন এ ঘটনার মামলার আসামি শরিফুল ইসলামের বাবা সাখাওয়াত হোসেন (৬০), তার প্রতিবেশী মনোহরপুর কমিউনিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী আবু জাফর ইকবাল (৪৯) এবং জাফরের তিন ছেলে ফরহাদ, ফুয়াদ ও শিহাব।
এ মামলার দুই আসামি শরিফুল ইসলাম ও মোসাব্বের আলম খন্দকারকে যথাক্রমে তিনদিন ও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলাটি এখন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে পুলিশ এ পাঁজনকে আটক করেছে।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন সেসব জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক প্রত্যেকের জন্য দুদিন করে মঞ্জুর করে বলে জানান ওসি।
দিনাজপুরে কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে ইসকন মন্দিরে বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মসভা চলাকালে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে দুইজন আহত হন।
ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক হন গাইবান্ধার পলাশাবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের যুবক শরিফুল ইসলাম। শরিফুল আটকের পর জড়িত সন্দেহে তার বাবা ও চার প্রতিবেশীকে মনোহরপুর গ্রাম থেকে আটক করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ।