কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
Published : 10 May 2014, 06:05 PM
নজরুলসহ সাতজনের লাশ উদ্ধারের ১০ দিন পর শনিবার ক্ষমতাসীন দলের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ এই পদক্ষেপ নিল।
নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন, একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি।
নূর হোসেনের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. ইয়াসিন মিয়াকেও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, তারা নূর হোসেন ও ইয়াসিন মিয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন। এখন কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কাউন্সিলর নজরুলের পাড়ার বাসিন্দা ইয়াসিন এই হত্যাকাণ্ডের দুই নম্বর আসামি। ঘটনার পর থেকে ইয়াসিন ও নূর হোসেন উভয়ই পলাতক। তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সাত খুন নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যে শনিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় অস্থায়ী কার্যালয়ের বর্ধিত সভায় বসে থানা আওয়ামী লীগ।
থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর সাংবাদিকদের বলেন, “নূর হোসেন ও ইয়াসিন মিয়াকে দলের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মহানগর কমিটিকেও জানানো হয়েছে।”
সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সভায় শোক প্রস্তাব নেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সভায় এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুলের পরিবারের অভিযোগ, নূর হোসেন অর্থ দিয়ে র্যাবের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
অপহরণের পর মামলায় নূর হোসেন ও ইয়াসিনের নাম দিয়েছিল নজরুল পরিবার, এখন মামলাটি হত্যামামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
অপহরণের পর ক্ষুব্ধ নজরুল সমর্থকরা ইয়াসিনের বাড়ি ও নূর হোসেনের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়। লাশ উদ্ধারের পর নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ, উচ্ছেদ করা হয় নদী তীরে তার অবৈধ দখল, তার দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক।
নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়।