দ্য ল্যাম্প ক্যাফে
৭৪৬ সাতমসজিদ রোড, ৭ তলা
রেস্তোরাঁজুড়ে লাল আর হলুদের ব্যবহার। সাততলার উপর থেকে কাচে ঘেরা জানালা দিয়ে সাত মসজিদ রোডের কোলাহলের চিত্র বেশ পরিষ্কার ভাবেই বোঝা যায়। শুধু ভেসে আসে না কোনো শব্দ।
সাকুল্যে বসার ব্যবস্থা আছে ৬০ জনের।
অল্পক’দিন আগেই শুরু হয়েছে এই রেস্তোরাঁর অন্যতম কর্ণধার মুয়িদ ইবনে হাসান জানান, চারজন মিলে করেছেন এই খাবারের দোকান। তারা এলাকারই বাসিন্দা আর পড়াশোনাও করেছেন এখানকারই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
রেস্তোরাঁর নাম ল্যাম্প কেন? আর ছবিতেই বা কেন এক জিনির উপস্থিতি?
জানতে চাইলে হাসান বলেন, “আমরা আসলে অতিথি সেবা দিয়েই মানুষের মনে দাগ কাটকে চাই।”
“জিনির মতো তো আর অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবো না তবে আমরা ঠিক করেছি প্রতিমাসে আমাদের লভ্যাংশের পাঁচভাগ দিয়ে গরীব ও বঞ্চিত শিশুদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা কর।”
হাসান জানান, এখানে মিলবে বিভিন্ন ধরনের সিফুড- গলদা, রেড স্ন্যাপার, কালামারি, কাঁকড়া- ইত্যাদি। এছাড়াও মিলবে কিছু ইতালিয়ান ও ভারতীয় খাবার।
মোকা স্মুদি(১৬৫ টাকা), গ্রিন অ্যাপল মহিতো (২২৫ টাকা) পানীয় হিসেবে এখানে বেশ জনপ্রিয় বলে জানা গেল।
দুপুরে ছাত্রদের ভীড় বাড়লেও রাতে পরিবার বেঁধেই লোকজন আসেন বেশি।
পিমিয়েন্তো
৭৩৬, সাত মসজিদ রোড, ১১ তলা
স্প্যানিশ শব্দ, বাংলা অর্থ ক্যাপসিকাম। এই বিল্ডিংয়ে রেস্তোরাঁ ভীড়ে নতুন সংযোজন বললে ভুল কিছু বলা হবে না।
অন্যতম কর্ণধার আল আমিনের সঙ্গে বিডিনিউজের কথা হয় রেস্তোরাঁ খোলার প্রথম দিনেই।
সোজাসাপটা ভাষায় তিনি বলেন, “নিজের কিছু পছন্দের খাবারই অতিথিদের কাছে দিতে চান।”
মেক্সিকান আর ইতালিয়ান খাবারের প্রাধান্যই এখানে বেশি। আমিন কথার ফাঁকে জানান, বিলেতে পড়াশোনা করতে গিয়েই ভিন্নদেশের খাবারের প্রতি তার আগ্রহ জন্মে।
শেফ মাইনুল ইসলাম রান্না বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আড়াই বছর কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে।
আর ৪৮ জন ভেতরে বসে কাচের বাইরের দুনিয়া দেখতে গিয়ে ভাবতে পারেন যেন বসে আছেন ‘আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি’!
রেস্তোরাঁয় ঢুকেই ডান দিকে কাচের পাশে মাটিতে রঙিন কুশনসহ মাটির সঙ্গে বসার ব্যবস্থা অনেকের কাছেই ভালো লাগতে পারে।
ভ্যাপিয়ানো
৪৯, সাতমসজিদ রোড
প্রায় ১৫০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে এই ছিমছাম নতুন রেস্তোরাঁয়। ভেতরে বসবার জন্য চারজনের টেবিল যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পরিবার বা বন্ধুদের দলের জন্য ১০-১২ বসতে পারেন এমন টেবিলও।
একপাশেই রয়েছে শিশুদের জন্য কিডজ জোন।
ম্যানেজার শাহনেওয়াজ নাহিদ জানান, এই রেস্তোরার রান্নাঘরে কাজ করেন ১৫ জন। প্রাকৃতিক রংয়ের ব্যবহারই এই রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করা হয়েছে বেশি।
কফিতে এসপ্রেসো ১১০ টাকা আর ক্যাপুচিনো ১৬০ টাকা পড়বে।
চাপ সামলাও
৫৪, সাতমসজিদ রোড
বনানীর পর এটাই তাদের দ্বিতীয় শাখা। খাবার তালিকাও ছোট।
পাওয়া যাবে বিফ, চিকেন, ফিশ চাপ।
বিফের চাপের দাম ১৩০ টাকা। চিকেন ১৯০ আর মাছ (রূপচাঁদা) ২২০ টাকা। এছাড়াও মিলবে গিলা-কলিজা, মগজ, গুর্দা ইত্যাদি, সঙ্গে লুচি।
আর এইসব চাপের সঙ্গে ‘গ্রিন সালাদ’ আর পানীয়সহ দাম ২৩৫ থেকে ৩৩৫ টাকা।
খাবার পরিবেশনকারী ও সরবাহকারীদের টি-শার্টে লেখা ‘কোপা সামসু’ বা ‘জুম্মন কসাই’।
আর একটি দেওয়াল জুড়ে আগের জামানার মতো হাতে আঁকা বাংলা সিনেমার ব্যানার নস্টালজিক করে তুলতে পারে আপনাকে।