ধানমণ্ডির কিছু রেস্তোরাঁ

সাত মসজিদ রোড ও ২৭ নম্বর রোডের পাশেই লালমাটিয়া এলাকার কিছু খাবারের দোকান নিয়ে এই কিস্তি।

মিথুন বিশ্বাস ও মামুনুর রশিদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2015, 11:40 AM
Updated : 23 Feb 2015, 11:52 AM

ব্রেড অ্যান্ড বিয়ন্ড

সাত মসজিদ রোড

ব্রেড, কেক, স্যান্ডউইচ, বাকলাভা, বাসবুসা, কফি ইত্যাদি সবই মিলবে এখানে। 

ব্রাউন ব্রেড পড়বে ৮০ টাকা, আরও আছে মিল্ক ব্রেড।

ব্রেড অ্যান্ড বিয়ন্ড। ছবি: শিশির/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ম্যানেজার নুরুন নাহার জানান স্বাস্থ্যসচেতন বহুলোকই এখন ব্রাউন ব্রেড কিনছেন।  আগামীতে ডায়াবেটিকদের জন্য ব্রেডও আনার চিন্তা করছে তারা। এছাড়াও ‘মাসালা’ ব্রেড আছে এই তালিকায়।

আর ম্যানেজার নাহারের দাবি, “কোনো রকম প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করিনা আমরা।”

চার মাস আগে শুরু হওয়া এই দোকানে আছে ভ্যানিলা, তিরামিসু, চকলেট ফাজ, ব্ল্যাক ফরেস্ট, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফ্লেইবারের কেক। দাম আধা কেজি ৭০০ টাকা করে পড়বে।

ভেতরের অন্দরসজ্জা বেশ বলা যায়, প্যাস্টেল রংয়ের ব্যবহারের কারণে ভেতরে কোনো কিছু অযাচিতভাবে চোখে পড়বেনা। একসঙ্গে ৩২ জন বসতে পারবেন। ওয়াইফাই আছে।

সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্য্ন্ত খোলা থাকে।

চিজিক

চিজিক। ছবি: শিশির/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বাড়ি ৭৪, ছয়তলা, সাত মসজিদ রোড

বিলাতের এক জায়গার নামে নামকরণ এই রেস্তোরাঁর। কর্ণধার ফয়সাল ইসলাম অবশ্য জানান নামটি তিনি নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এক এলাকার নাম দেখে।

সিডনিতে এক রেস্তোরাঁতে কাজও করেছেন বলে জানান তিনি। খাবার মিলবে প্রধানত কন্টিনেন্টাল। তবে এই রেস্তোরাঁর অবস্থানই বোধ হয় এর বিশেষ আকর্ষণ। ছয়তলার উপর খোলা অংশে বসলে ধানমণ্ডি লেইক একেবারে চোখের সামনে! আর এই অংশে বসার ব্যবস্থা আছে ৩০ জনের। ভেতরে বসতে পারবেন ২৪ জনের মতো।

শেফ হিসাবে যিনি আছেন, তিনি পড়াশুনা করেছেন সাইপ্রাসে বলে জানান ইসলাম। ইন্টেরিয়র নিজেদেরই করা। আর তাতে কালো ও সাদার ব্যবহার আছে।

পানে ‍ক্রিম সুপ ২৩০ টাকা, ‍টি-বোন স্টেক ৬৫০ টাকা আর তেরিয়াকি ‍গ্রিল চিকেন ২৭০ টাকা পড়বে।

লাইভ কিচেন

লাইভ কিচেন। ছবি: শিশির/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বাড়ি ৩৮/এ, রোড নম্বর ১৬ (নতুন), ধানমণ্ডি।

বনানীর পর লাইভ কিচেন এবার শাখা খুলল এই এলাকায়। প্রায় পাঁচ মাস আগে চালু হয় এই শাখা।

এখানে বসতে পারবেন সাকুল্যে ৬২ জন। বনানীর মতো এখানের খাবার তালিকা একই রকম।

এখানকার সহকারী ব্যবস্থাপক সাব্বির হোসেন জানান, তরুণদের আনাগোনা বেশি। আর সন্ধ্যায় ভিড় বাড়ে। টুল আর কাঠ-কাচের টেবিলের পাশাপাশি আছে তিনটি সোফায় একটু বেশি আরাম করার ব্যবস্থা। আর প্রধান ফটকের বাইরে লবিতেও বসাতে পারবেন ১৫ জন। এই অংশে মাথার উপর ছাদও আছে।

বার্গারের মধ্যে চিজি ডিলাইট ২৫০ টাকা, ফিলি ‍চিজ ২৮০ টাকা আর ডাবল ডেকার ৩শ’ টাকা।

ক্যান্ডিফ্লস

ক্যান্ডিফ্লস। ছবি: শিশির/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

রোড নম্বর ১৬ (নতুন), ধানমণ্ডি

রাজধানীতে যখন এত খাবারের দোকান চালু হয়নি তখন গুলশান এলাকায় যাত্রা শুরু করে এই রেস্তোরাঁ। সেটারই একটা শাখা রয়েছে লাইভ কিচেনের প্রায় গা ঘেঁষে। ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামের তথ্যমতে সাত মাসে আগে শুরু হওয়া এই দোকান খুব বেশি বড় না হলেও ‘টেইক অ্যাওয়ে’র জন্য একেবারে মানানসই।

খাবার মিলবে প্রধানত ফাস্টফুড ঘরানার। হটডগ ৩৫ টাকা, ‍বিফ বার্গার ৪০ আর ক্লাব স্যান্ডউইচ ১১৫ টাকা।

স্বাদ তেহারি ঘর

২/৪ লালমাটিয়া ব্লক সি

ম্যানেজার রাহেলা খানম জানান, তাদের এই ব্যবসা চলছে ১৯৯৫ সাল থেকে। জনা চল্লিশেক মানুষ একসঙ্গে বসে খেতে পারবেন। আহামরি কোনো অন্দরসজ্জা না থাকলেও ছিমছাম বলা যায়।

বিফ তেহারি ১৫০, মাটন ২৩০ আর চিকেন ২৩০ টাকা। খিচুড়ি মাংসের প্রকার ভেদে ১৬৫ থেকে ২৩৫ টাকা। মাটনের কাচ্চি ২৩০ টাকা। দুপুরের দিকে ভিড় বেশি থাকে বলে জানা গেল।

ওয়াইফাই আছে।

কফি ওয়ার্ল্ড

কফি ওয়ার্ল্ড। ছবি: শিশির/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর

ম্যানেজার জুয়েল দাশ এই প্রতিষ্ঠানে আছেন ২০০৭ থেকে। তিনি জানান, এখানে বসার ব্যবস্থা আছে ৭৮ জনের। আর বেশ আরাম করেই বসা যায়।

খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।

২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের আনাগোনা বেশি থাকলেও একটু বয়স্করা নাকি নিয়মিতভাবে আসেন এখানে। এমনকি দিনেও নাকি দুতিনবার ঢুঁ দিয়ে যান!

এখানে কফি বানাতে শুধুমাত্র ব্রাজিলের বিনস ব্যবহার করা হয়। কাপুচ্চিন্নো ১৫০, লাত্তে ১৫০ টাকা পড়বে।

এসপ্রেসো যারা পছন্দ করেন তাদের মন খারাপ হতে পারে এখানে। ডাবল শটের জন্য ডাবল টাকাই নিয়ে থাকেন তারা, অন্তত মেনু তাই বলে। একে অনায্য ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে!

মিলেবে বেশ কিছু স্যান্ডউইচ আর মিঠাই। ব্রাউনি ১৯০ টাকা আর মাফিন ৯০ টাকা। ওয়াইফাই আছে।

নান্দোজ

নান্দোজ। ছবি: শিশির/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বাড়ি ৪৩, ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর

২০০৭ সালে চালু হওয়া এটাই বাংলাদেশে নান্দোজের প্রথম রেস্তোরাঁ। ১৫০ জন বসতে পারবেন এখানে। অন্দরসজ্জায় আফ্রিকান লোকসংস্কৃতির ভাব স্পষ্ট। সেদিক থেকে এটি বেশ ইউনিক এটা বলা যায়, অন্তত আমাদের দেশের আঙ্গিকে।

বাদ্যযন্ত্র থেকে শুরু করে খাবার বানানোর পাত্রও আছে।

এখানে ব্যবহৃত সস আসে আফ্রিকা থেকে, জানান ম্যানেজার আদনান রফিক। তরুণ আর পরিবারসহ আসা অতিথিদের আনাগোনাই এখানে বেশি হয়।   

পর্তুগিজ-আফ্রিকান ফ্লেইবারের খাবার এখানে মিলবে। আস্ত মরুগির গ্রিল বা বাটারফ্লাই চিকেন ৬৫০ টাকা পড়বে। ‍পেরি পেরি চিকেন ৫৫০ টাকা। গোয়া লেমন আর রিফ্রেশ মিন্ট এখানকার জনপ্রিয় পানীয় বলে জানান ম্যানেজার। ওয়াইফাই আছে।