সিলেটে টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজের আড়ালে ডাকাতির জন্য স্থান নির্বাচন করেন আর ডাকাতি শেষে চট্টগ্রামে এসে নিপাট ভালো মানুষ সেজে ঘর-সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
Published : 22 Jun 2017, 02:42 PM
বুধবার গভীর রাতে বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের তুলাতলী এলাকা থেকে ডাকাতির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর তার সম্পর্কে একথা জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. শুক্কুর আলীর (৪৫) সিলেটের ওসমানিনগর থানার গোল মোকাপন এলাকায়।
তবে সিলেট শহর ও আশপাশের এলাকায় টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার আড়ালে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত শুক্কুরের স্ত্রী-সন্তান চট্টগ্রামের তুলাতলী এলাকায় থাকে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।
তার বিরুদ্ধে চারটি ডাকাতি, একটি খুন ও চারটি চুরির মামলা রয়েছে জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজের আড়ালে এক দশকের বেশি সময় ধরে সে ডাকাতি করছে।
“নতুন ভবনে টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজের আড়ালে সেই ঘরের সব কিছু দেখে পরিকল্পনা করত শুক্কুর। কাজ শেষ করে আসার কিছুদিন পরই ওই বাড়িতে ডাকাতি করত।”
মাস দেড়েক আগে সিলেটের বিমান বন্দর থানা এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতি করে শুক্কুর।
ওই ঘটনায় সিলেট পুলিশের পক্ষ থেকে সিএমপির কাছে সহায়তা চাওয়া হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে নামে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, ডাকাতদের ১০-১২ জনের একটি দল আছে। ডাকাতির পর শুক্কুর প্রতিবারের মত এবারও চট্টগ্রামে চলে আসে।
“এখানে তুলাতলী এলাকার বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকে। তার স্ত্রী ও মেয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করে। এলাকায় সে ভালো লোক হিসেবে পরিচিত।”
২০০৭ থেকে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশকে জানিয়েছে শুক্কুর।
কামরুজ্জামান বলেন, জকিগঞ্জের এক বাড়িতে কয়েক বছর আগে ডাকাতি করতে গিয়ে একজনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে শুক্কুর।
“সে একটি ডাকাতি ও একটি চুরির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।”
শুক্কুরকে সিলেটে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পরিদর্শক কামরুজ্জামান।