মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১১২ বলে শতক পূরণ করেন তিনি। শতকের ইনিংসটি ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৪২তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৩৫ বলে ১৫টি চার ৩টি ছক্কায় ১৩২ রান করেন তামিম।
শতক পাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডও গড়েন তামিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ১৭৮ রান তোলেন তিনি। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে রাজিন সালেহ ও হাবিবুল বাশারের তোলা ১৭৫ রান ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের যে কোনো জুটির সর্বোচ্চ।
ইনিংসের ৩৫তম ওভারের পাকিস্তানের স্পিনার সাইদ আজমলকে দারুণ এক চার মেরে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তামিম। শুরুতে ধীর লয়ে খেলা তামিম অর্ধশতক করতে খেলেন ৭৫ বল।
ব্যক্তিগত ৪৮ রানে প্রাণ পান তামিম। ইনিংসের ২৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাদ নাসিমকে সহজ ক্যাচ দেন তিনি কিন্তু পাকিস্তানের এই স্পিনার তা ধরতে ব্যর্থ হন।
প্রাণ পাওয়ার পর আর ভুল করেননি তামিম। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দারুণ সব শটে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক তুলে নেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
তামিম সর্বশেষ শতকটি করেছিলেন ২০১৩ সালের মার্চে; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাম্বানটোটার ম্যাচে। এরপর চারবার অর্ধশতক পেরুনো ইনিংস খেললেও কোনো ইনিংসকে শতকে রূপ দিতে পারেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপেও শতকের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন তামিম কিন্তু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রান তুলে আউট হন তিনি।
বিশ্বকাপের একাদশ আসরে ছয় ইনিংসে ১৫৪ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। তার ছয় ইনিংস ছিল ১৯, ০, ৯৫, ২, ১৩ ও ২৫। এ কারণে সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। সে সমালোচনার জবাব পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেই দিয়ে দিলেন তামিম।