বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের ভাগ্য অনিশ্চিত অবস্থায় রেখে দেশে ফিরে গেছে বাংলাদেশ সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল। সফর পেছানো নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি।
Published : 29 Sep 2015, 01:47 PM
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল, অস্ট্রেলিয়া দলের ম্যানেজার গ্যাভিন ডাভি ও দলের নিরাপত্তা ম্যানেজার ফ্র্যাঙ্ক ডিম্যাসি সোমবার ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর অনেকগুলোরই প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের সঙ্গে সেই বৈঠকে ছিলেন প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও। বৈঠক শেষে ঢাকা ছাড়ে ক্যারলের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আসা নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া দলটি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে দেশটির ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসবে।
সিএর এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা প্রধান, দলের ম্যানেজার ও দলের নিরাপত্তা ম্যানেজার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের (ডিএফএটি) সঙ্গে বৈঠক করবে। তারা বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়দের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবে।”
ওই মুখপাত্র বলেন, “এখনও সফর নিয়ে আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।”
দুটি টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সোমবার বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ‘সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য পাওয়ার’ কথা জানিয়ে শনিবার হঠাৎ করেই সফর পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
সিএর পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএফএটি বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করায় সফর পেছানোর এই সিদ্ধান্ত।
গত শুক্রবার ওয়েবসাইটে দেওয়া ডিএফএটির ওই নোটিসে বলা হয়, জঙ্গিরা বাংলাদেশে ‘অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর’ আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে- এমন ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ তাদের হাতে রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবশ্য এই সফর নিয়ে শঙ্কা নেই। এমনকি সূচি বদল হবে না বলেও মনে করছেন বিবিসির প্রধান নির্বাহী।
আগামী ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম এবং ১৭ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হওয়ার কথা। সফরসূচিতে ৩ অক্টোবরে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও আছে।