তিন বছর আগে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
Published : 25 Mar 2024, 03:40 PM
মিয়ানমারে যদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরে তবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের। তবে সে নির্বাচন হয়তো দেশজুড়ে আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল লড়াই চলছে।
তিন বছর আগে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করে। তখন তারা বলেছিল, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
কিন্তু অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও কয়েক দিন পর মিয়ানমার জুড়ে জান্তা বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। যা কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করে জান্তা বাহিনী। তাদের গুলিতে বহু আন্দোলনকারী নিহত হয়। জান্তা বাহিনী শহরকেন্দ্রিক ওই আন্দোলন আপাত দমাতে সক্ষম হলেও বিদ্রোহের আগুন দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আগে থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লড়াই চলছিল।
গত বছরের শেষ দিক থেকে কয়েকটি আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এবং বিদ্রোহী দল একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই শুরু করে। এরইমধ্যে তারা সেনাবাহিনীকে হটিয়ে কয়েকটি অঞ্চলের দখলও নিয়েছে। কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে এখনও তুমুল লড়াই চলছে।
দেশের এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পাত্তাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি হ্লাইং এ বিষয়ে রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে ওই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।
যেখানে হ্লাইং বলেন, “যদি দেশ শান্ত এবং স্থিতিশীল হয়, আইনের মেনে দেশব্যাপী নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না হলেও যতটা সম্ভব সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”
ক্ষমতা দখলের পর দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার কথা বলে প্রতি ছয় মাস করে করে সামরিক আইন জারি রাখছে জান্তা সরকার।
আরও পড়ুন:
বিরোধী ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়: মিয়ানমারের জান্তা প্রধান